আশিকুর রহমান, জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডিকলাইনিং অটোমান হেজিমনি: শেপিং এ নিউ ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ সেমনারের আয়োজন করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বর্তমান বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রেক্ষাপটে সেমিনারের বিষয়টি অত্যন্ত সময়োপযোগী। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধারাবাহিকভাবে গবেষণাধর্মী সেমিনার আয়োজনের ফলে আমাদের একাডেমিক মান আরো বৃদ্ধি পাবে। সকল ধরনের ডিসিপ্লিনে গবেষণা প্রয়োজন, গবেষণা না হলে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হবে না। আর নতুন জ্ঞানের আবির্ভাব না হলে আমরা একাডেমিক শিক্ষায় স্থির হয়ে যাব।
প্যানেল আলোচনায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, মুসলমানদের সমৃদ্ধময় ইতিহাস আইডেনটিটি আছে যার অতীত ঐতিহ্য আমাদের আরো উপজীব্য করে গড়ে তুলবে। এ ধরনের গবেষণা ও সেমিনারের মাধ্যমে আমরা ইসলামের সঠিক ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে পারবো। ওসমানীয় সাম্রাজ্যের মূল ভিত্তি ছিল ইমান, ইসলাম, ইনসাফ ও নৈতিকতা যেকারণে এই সাম্রাজ্য প্রায় সাতশত বছর টিকেছিল। এই গর্বিত ইতিহাস মুসলিম সমাজের উন্নয়নে প্রাসঙ্গিক।
সেমিনারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ওয়াইটিবি স্কলার ড. মো. আনিসুর রহমান ‘ডিকলাইনিং অটোমান হেজিমনি: শেপিং এ নিউ ইন্টারন্যাশনাল অর্ডার ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি ওসমানীয় সাম্রাজ্যের ইতিহাস, খেলাফতের বৈশ্বিক প্রভাব ও দক্ষিণ এশিয়ার নতুন আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার গঠন নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহ্মুদা খানমের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান খান।
সহযোগী অধ্যাপক ড. তাসলিমা ইসলামের সঞ্চালনায় সেমনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও অক্সফোর্ড স্কলার ড. মো. মিজানুর রহমান। এ ছাড়া স্বাগত স্বাগত বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. মোছা. রূপালী খাতুন।
সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন গবেষকগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য