জাবি প্রতিনিধি
মাদকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা জারি রাখায় প্রশংসায় ভাসছে জাবি প্রশাসন। থার্টি-ফাস্ট নাইটসহ মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে মাদক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা পালন করায় প্রশাসনকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে জাবি শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৯ টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি) রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স রুমে জাবি প্রশাসনকে এ ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.কামরুল আহসান, প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাশিদুল আলম, সহকারী প্রক্টর শামীমা নাসরীন জলি ও জীববিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. মাফরূহী সাত্তার।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৯ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘ যেকোনো অপরাধের মূলেই আমরা মাদকের ভূমিকা দেখতে পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিনতাই, চুরির পেছনেও মাদকের ভূমিকা স্পষ্ট। আমরা দেখেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুরু থেকেই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে এবং বিশেষ করে থার্টি-ফাস্ট নাইটে আতশবাজি, মাদকসেবন ও উশৃংখল কর্মকান্ড রোধে যথাযথ ভূমিকা পালন করেছে, তাদের এহেন প্রশংসিত কর্মকাণ্ডের জন্য আমরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি প্রশাসন এমন ইতিবাচক কর্মকাণ্ড অব্যহত রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.কামরুল আহসান বলেন, ‘ তোমরা নৈতিকতার জায়গা থেকে এসেছো দেখে খুবই ভালো লাগছে। নতুন শিক্ষার্থীরা যাতে মাদকের সাথে যুক্ত না হয় এইজন্য সচেতনতা মূলক কাজ তোমাদেরও যেমন করতে হবে, আমরাও করবো। প্রতিটা হলে সেমিনারের মাধ্যমে মাদকের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরতে হবে। মাদক গ্রহণের স্থান গুলোতে দুই দিনের ভিতর লাইট লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। আশা করি তোমাদের সহযোগিতা পেলে আমরা যথাযথভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো এবং নতুন শিক্ষার্থীরা মাদকে আসক্ত না হতে পারে সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকবো।
উল্লেখ্য, বিগত থার্টি-ফাস্ট নাইটে অভিযানে ধৃত ৪ মাদকসেবি শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মন্তব্য