হারুন শেখ, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
বাগেরহাটের কচুয়ায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম (৬৬) ও বাধাল বাজার ব্যবসায়ী রাকিবুল ইসলাম বাপ্পি (৪০) এর মধ্যে কথা কাটাকাটি সূত্র ধরে মারামারির ঘটনা ঘটে।
(রবিবার) ৪ই জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কচুয়ার জিরো পয়েন্টে বাপ্পির সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত ৮ দিকে কচুয়া থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার পরপর রাকিবুল ইসলাম বাপ্পি আহত অবস্থায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাতেই কচুয়া থানায় বাদী হয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। কচুয়া থানায় মামলা নং-১।
ঘটনার পরপর রাকিবুল ইসলাম বাপ্পীকে যুবদল কর্মী দাবি করে কচুয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্না ও কচুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি লিখিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উল্লেখ করেন কচুয়া উপজেলা বিএনপির ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি গঠন চলাকালীন কচুয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় যুবদল নেতা রাকিবুল ইসলাম বাপ্পি মারাত্মকভাবে আহত হয়। উপজেলা বিএনপি’র পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এছাড়াও নজরুল ইসলাম এর ছেলের আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার কথাও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন। একই বিষয় উল্লেখ করে পরদিন ৫ জানুয়ারি বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটিএম আকরাম হোসেন তালিম স্বাক্ষরিত আরও একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রাশেদুল আলম বলেন, গতকাল রাতে একটি উত্তেজনা কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ঘটনার পরে রাকিবুল ইসলাম বাপ্পি বাদী হয়ে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেছেন।
তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানিয়েছেন আমরা সেলিম ভাইয়ের সমার্থক হওয়ায় কৌশলে আমাদের দলের বাহিরে রাখতে এ ধরনের ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। দ্রুতই এই অবস্থার পরিবর্তন হবে।
নাইম এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিন রাতেই সন্ত্রাসীরা বাধাল বাজারের ব্যবসায়ী রাজ্জাকের ছেলে নাইমের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর ও তাণ্ডব চালিয়েছে এবং ২ টি মোটরসাইকেল ও ঘরের অন্যান্য সামগ্রী পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে তাদের ৫০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানান । এ ঘটনা নিয়ে থানায় মামলা করার ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে জানান।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ রাশেদুল আলম মুঠোফোনে বলেন,এ ঘটনা আমি জানিনা হয়তো সে একটা মামলার আসামি এজন্য থানা আসতে ভয় পাচ্ছেন। তবে চাইলে তারা কোর্টে গিয়েও মামলা করতে পারেন।
পরিস্থিতি এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মন্তব্য