ভোলা জেলা প্রতিনিধি
ভোলায় আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা গোলা ও হাতবোমাসহ তোফায়েল নামে একজনকে আটক করলো কোস্ট গার্ড।ভোলায় ২টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২টি তাজা গোলা এবং ৪টি হাতবোমাসহ মোঃ তোফায়েল আহমেদ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। অদ্য ৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোররাতে সদর উপজেলার মাষ্টার কলোনী এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি ভোলা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি শান্তির হাট ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও বটে।
আটককৃত তোফায়েল আহমেদ সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আহমেদ ফরাজির ছেলে। বেলা ১১টায় কোষ্টগার্ড দক্ষিণ জোনের লেফ টে ন্যান্ট কমান্ডার মোঃ মিনহাজুর রহমান এক সংবাদ সম্মে লনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি আর-ও জানান, দীর্ঘদিন যাবত ভোলা সদর উপ জেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পূর্ব কাজীরচর এলাকায় তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে একটি সক্রিয় সন্ত্রাসী দল জমি দখল, চাঁদাবাজি, অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্প তিবার ভোররাতে সদর থানা পুলিশ এবং কোষ্টগার্ড যৌথ একটি অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা গোলা এবং হাতবোমাসহ তাকে আটক করতে সক্ষম হন।
এদিকে, তার আটকের সংবাদ শুনে বেলা ১২টার দিকে শান্তির হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশো শিক্ষার্থী ও শিক্ষক ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে তার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।
তবে কোষ্টগার্ড বলছে, তোফায়েল আহমেদ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত।আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং সরকার পতনের পরে তার ইন্ধনে জেলার বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও দখলদারি চলত। সে বেশকিছু সন্ত্রাসীকে শেল্টার দিত। তাঁর মোবাইল ফোন চার্জ করে দেখা গেছে, তিনি বেশকিছু হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাঁর অনুসারীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিত। অনুসারীরা তাঁর ইন্ধনে অনেক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। প্রমাণস্বরুপ কোষ্টগার্ডের কাছে এসব হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং রয়েছে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিচ্ছে, তোফায়েল আহমেদ শান্তির হাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে থেকেও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ফজলুর কাদের মজনু মোল্লার অনুসারী ছিলেন।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা কালীন সময় তিনি নিয়মিত স্কুলে না গিয়ে রাজনীতির মাঠ চষে বেড়াতেন। তাঁর বিরুদ্ধে জমি দখলসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
মন্তব্য