নিজস্ব প্রতিবেদক
সুনামগঞ্জের মধ্যে নগরে ভূয়া এতিমের তালিকা দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাসিন্দা সাবেক ডিআইজি আবদুল বাতেন এর ফুলেননেছা মাদ্রাসা এতিমখানায় ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ১০০ জন এতিমের মিথ্যা তালিকা দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে ৫০ জনের নামে বরাদ্দ পায় বছরে ১২ লাখ টাকা, গড়াকাটা দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসা এতিমখানায় ৪০ জন এতিমের মিথ্যা তালিকা দিয়ে ১৯ জনের নামে বরাদ্দ পায় প্রতি মাসে ৩৮ হাজার টাকা।
সরজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ফুলেননেছা মাদ্রাসা এতিমখানায় মাত্র ১৬ এতিম শিশু রয়েছে। গড়াকাটা দারুসসুন্নাহ মাদ্রাসায় এতিম শিশু রয়েছে মাত্র ৭ জন, সাবেক ডি আই জি আবদুল বাতেন এর প্রভাব খাটিয়ে এতিমের জাল সনদ তৈরি করে সমাজ সেবা থেকে কয়েক বছর যাবত ৩৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। গত মঙ্গলবার দুপুরে মাদ্রাসায় সরজমিন গিয়ে দেখা যায় অধিকাংশ ছাত্র আশেপাশের মানুষের বাড়িতে লজিং থেকে সেখানে খাবার খায়। মাদ্রাসায় মাত্র ১৩ জনের রান্না করা হয়েছে রাতের জন্য। আরো জানা গেছে, এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রকল্পে এতিম ছাত্রদের তালিকা তৈরি, অর্থগ্রহণ ও বণ্টনে মানা হয়নি সরকারি নীতিমালা। মাদ্রাসায় পড়া শিক্ষার্থীদের অনেকের বাবা-মা জীবিত আছেন। তাদেরও গ্রান্ট ক্যাপিটেশন এতিম হিসেবে দেখানো হয়েছে। কাগজে-কলমে দেখানো গ্রান্টভুক্ত এতিম শিক্ষার্থীরা অন্যের বাড়ি জিং থেকে শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য তারা খরচ বহন করে। এ বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, …………
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা কর্মকর্তা জানান, ‘ইতোমধ্যে সদর উপজেলায় একটি বেসরকারি এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্রান্ট প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য