জাবি প্রতিনিধি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে শাখা ছাত্রদলের একদল নেতাকর্মী।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। অতপরঃ আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আটক হওয়া ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আলা নুরজান ওরফে ঋজু। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ ব্যাচের একাউন্টটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ছাত্র।
জানা যায়, রাতে ক্যাম্পাস গেটে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে দেখা গেছে এমন খবর শুনে একদল ছাত্রদল নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময় পরিচয় জানতে চাইলে ওই ছাত্রলীগ কর্মী শাখা ছাত্রদলের সদস্য আব্দুল গাফফার জিসানকে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে এসময় জিসানের সাথে থাকা অন্য নেতাকর্মীরা ছাত্রলীগ কর্মী আলা নুরজানকে আটক করে এক দফা মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে আশুলিয়া থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল গাফফার জিসান বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের খবর দেয় ক্যাম্পাস গেইটে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে দেখা গেছে। আমরা গিয়ে তার পরিচয় জানতে চাইলে সে আমাকে ঘুসি ও লাথি মেরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে আমার সাথে থাকা অন্য নেতাকর্মীরা তাকে ধরে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করে।
অভিযুক্ত আলা নুরজান ওরফে ঋজু বলেন, আমি গত কয়েকদিন ধরে হলে আসছি। আমি আমার বন্ধু তানভীর ডেইরি গেইটে আসলে কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের পরিচয় জানতে চায় এবং ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে বলে। এই নিয়ে কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। আমাকে অনেক আঘাত করে, এতে আমার পেন্ট ছিঁড়ে যায়।
আব্দুল গাফফারকে আঘাত করার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলা নুরজান তা স্বীকার করেন। এছাড়া ডেইরি গেইটের সিকিউরিটি গার্ড সদস্যগণ ছাত্রদলের নেতা আব্দুল গাফফারের উপর হামলার কথা স্বীকার করেন এবং তাদের একজন আহত হয়েছেন বলেও জানান।
এ জাবি প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং জানতে পারি ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন। আব্দুল গাফফারের উপর অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার জন্য তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশে কাছে সোপর্দ করি।
মন্তব্য