সুজন মাহমুদ, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। বিশেষ করে সরিষা চাষে রীতিমতো বিপ্লব হয়েছে। সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও বিস্তৃত মাঠ হলুদ রঙে ভরে উঠেছে।
কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সরিষার চাষ। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার প্রয় ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হচ্ছে।
সরিষার চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম হওয়ায় অনেক কৃষক এই ফসল চাষে ঝুঁকেছেন। সরিষা তোলার পর একই জমিতে আখের আবাদ হচ্ছে। আর এবার চলতি মৌসুমে ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার পদ্মার চর, দুড়দুড়িয়া, কচুয়া বোয়ালিয়াপাড়া, সিরাজিপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের সমারোহ। ফুলে ফুলে ভরে গেছে সরিষার খেত। হোসেপুর গ্রামের রাকিবুল ও দূর্গাপুর গ্রামের বুলবুল ইসলাম জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। ফলন পাওয়া যায় ৪ থেকে ৫ মণ। প্রতিমণ সরিষার মূল্য এখন ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা। আবার সময় লাগে অল্প। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ইতোমধ্যে কোনো কোনো ক্ষেতে সরিষার দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় জানান, এবছর ৬৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। তিনি আরো জানান আবাদকৃত সরিষার মধ্যে বারী জাতের সরিষা বেশী আবাদ হয়েছে ,পতিত জমিতে, আমবাগানে, সরিষা আবাদ করার পরামর্শ দেন তিনি ।
সরিষার আবাদ বৃদ্ধি হলে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়বে এবং তেলের আমদানিনির্ভরতা কমে যাবে।
মন্তব্য