কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের কাউখালীতে দেশিও প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনের নিবন্ধন কৃত জেলেদের মাঝে বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য বিনা মূল্যে বকনা বাছুর বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন মৎস্য অধিদপ্তর। এই প্রকল্পের অধীনে উপজেল উপজেলার ১শত জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।সোমবার ১৩ ই জানুয়ারি সকালে প্রথম ধাপে ৩৫ জন জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য আনা হয় নিম্নমানের কম ওজনের বকনা বছুর। যার ফলে উপস্থিত জেলেদের প্রতিবাদে কর্তপক্ষ ঠিকাদারের কাছ থেকে বাছুরগুলো গ্রহণ না করে ফেরত পাঠিয়ে দিলেন। সুবিধা ভোগী জেলেদের মাঝে ৮০ কেজি ওজনের বকনা বাছুর বিতরনের কথা থাকলেও ৪৫ থেকে ৫৫ কেজি ওজনের দুর্বল বাছুর নিয়ে আসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
এ সময় উপস্থিত স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ স্বজল মোল্লা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে বাছুর গুলো ফেরত পাঠিয়ে দেন।উল্লেখ্য দেশিও প্রজাতির মাছ ও শামুক সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনের নিবন্ধন কৃত জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রতি বছরই বিভিন্ন প্রকার প্রনোদনা দিয়ে থাকে মৎস অধিদপ্তর। এবারের প্রণোদনায় যুক্ত ছিলো বকনা বাছুর সেই লক্ষ্যে মৎস অধিদপ্তরের ক্রয় কমিটি টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার দিয়ে বিভিন্ন উপজেলায় বকনা বাছুর দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলায় প্রথম ধাপের ৩৫টি বকনা বাছুরের গায়ে ব্যানার পেচিয়ে বিতরন করার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা বাধা দিলে তা বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, বাছুর গুলো নিম্নমানের ছিলো, সে কারনে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান বাছুর গুলো ক্রয় প্রকল্পের পিডি মহোদয়ের দপ্তর থেকে ট্রেন্ডারর হয়ে আসে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা বলেন, বকনা বাছুর গুলো মানসম্মত না হওয়ায় গ্রহণ করা হয় নাই।
মন্তব্য