জামাল খান, ভোলা জেলা সংবাদদাতা
ভেলা দৌলতখান সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী গ্রামের ০৮নং ওয়ার্ডে বহু বছর ধরে সড়কটির বেহাল দশায় দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে দুই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ।পিছিয়ে আছে শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা থেকে।
প্রায় ১কিলোমিটার গ্রামীন সড়কটি দীর্ঘ বছর ধরে এমন বেহালদশায় পড়ে আছে মনে হয় এই এলাকায় কোন মানুষ বসবাস করেনা।রাস্তাটির চিত্র দেখে এলাকার স্থানীয়দেরকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা বলেন,আমরা এই এলাকায় দেশ স্বাধীনের আগে থেকে বসবাস করে আসছি।কিন্তু অনেক কিছু উন্নতি হলেও উন্নতি হয়নি আমাদের এই যাতায়াত সড়কটি।তারা আরো বলেন,এখানে দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে,৪৫নং বড়ধলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৪০নং মধ্য বড়ধলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একটু বৃষ্টি হলে সড়কটি দিয়ে হাটা-চলায় অনুপযোগী হয়ে যায়। হাজার হাজার লোকের যাতায়াত এই সড়কটি দিয়ে।কোন মানুষ অসুস্থ হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়না।গাঁড়ি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বর্ষার দিনে বাজারে মসজিদে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে বের হয়ে এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত অসম্ভব হয়ে যায়।তার পরেও হয়নি এই গ্রামীন সড়কটির কাজ।আমরা অবহেলিত,আমরা অভিশপ্ত এলাকায় বসবাস করে আসছি।রাস্তাটি নিয়ে স্থানীয় প্রতিনিধিদের নেই কোন মাথা ব্যাথা।ইউপি ভোট আসলে প্রার্থীরা বলতেন আমাকে ভোট দিবেন আমি রাস্তাটি করে দিবো,কিন্তু ভোটে জয় হলে আর কেউ খবর রাখতেন না।এখন এই এলাকায় বসবাস করাটা অনিশ্চত হয়ে দাড়িয়েছে।নদী এলাকার কারনে মানুষের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে,কারণ বেরিবাধটি ও কাঁচা।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের থেকে জানতে পারলাম,এই এলাকার মেম্বার-চেয়ারম্যানকে অনেকবার বলা হয়েছে সড়কটির কাজ করার জন্য, কিন্তুু তারা শুধু আসা দিয়ে সময় পার করেছেন।সংস্কার হয়নি আজও সড়কটি।তারা আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন কেউ চেষ্টা করেনি। প্রায় ১৫বছর দেশ অনেক উন্নতি হয়েছে কোথায় ও কোন কাঁচা রাস্তা নেই শুধু এই রাস্তাটি এভাবে পড়ে থাকার কোন না কোন অবহেলা কারণ রয়েছে।
বর্তমান সরকারের কাছে এলাকার স্থানীয় লোকজনের একটাই দাবি এই রাস্তাটি যেন দ্রুত সংস্কার করে ভালভাবে বসবাস করার উপযোগী করে দেয়।
মন্তব্য