মোঃ মিনহাজ আলম, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক ফারুক আহমেদকে ঘুষ লেনদেনের সময় অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে আটক করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় একটি দোকানের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়।
দুদক জানায়, পাসপোর্ট সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বাসিন্দা মিরানা মাহজাবিন সরকার নামে এক ব্যক্তির কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন সহকারী হিসাব রক্ষক ফারুক আহমেদ।
প্রথম দফায় ২০ হাজার টাকা ঘুষ লেনদেনের সময় ওৎ পেতে থাকা দুদকের একটি টিম পাসপোর্ট অফিস এলাকার একটি দোকানে পিছনে অভিযান চালায়ে তাকে হাতেনাতে আটক করে।
এসময় ভুক্তভোগী মাহজাবিন সরকার জানান, পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তবে কিছু জটিলতা থাকায় বিষয়টি সমাধানে সহকারী পরিচালকের দারস্ত হন মাহজাবিন।
পরবর্তিতে তিনি মাহজাবিনকে ফারুক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধান করার পরামর্শ দেন সহকারী পরিচালক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মামুন।
এরপর ফারুক আহমেদের সাথে দেখা করলে সমস্যা সমাধানে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন।
উপায় না পেয়ে ঘুষের বিষয়টি দুদককে অবগত করলে ফারুককে ধরতে ফাঁদ পাতেন দুদক। এরই ফাঁদে আটকা পরে ফারুক।
এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক জানান, একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগে প্রেক্ষিতে একটি দল গোপনে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে দুপুরে টাকা লেনদেনের সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ জাহিদুল ইসলাম মামুন জানান, আমারদের কাজের সুবিধার্থে সকলকে কাজ ভাগ করে দেয়া আছে। সেই হিসেবে চিঠি পত্রের বিষয়গুলো ফারুক সাহেব দেখে। তাই মাহজাবিন সরকার নামে ওই ব্যাক্তি আমার কাছে আসলে আমি উনাকে উনার সমস্যা সমাধানে ফারুক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করতে বলি। এখানে ঘুষের বিষয় টি আমি জানিনা।
ফারুক আহমেদ বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের মামলা করা হয়েছে। এছাড়া, তার ঘুষগ্রহণের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য