আশিকুর রহমান , জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রিয়াসাল রাকিবের ফেসবুক স্ট্যাটাস তার ব্যক্তিগত মতামত এধরনের মন্তব্যের জন্য ছাত্রদল দায়ী নয় বলে জানিয়েছে জবি শাখা ছাত্রদল। এছাড়া রাকিবের এমন মন্তব্যে সংগঠনটি দুঃখ প্রকাশ করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করা হয়।
ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রিয়াসাল রাকিবের ফেসবুকের স্ট্যাটাস একান্তই তার ব্যাক্তিগত মতামত। এর দায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেবে না। “অনশনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কে ছাত্রদলের নাম জড়ানো উচিত নয়। ছাত্রদল কারো ব্যাক্তিগত মতাদর্শে হস্তক্ষেপ করে না বলে সে বিষয়ে তাকে জবাবদিহিতায়ও আনা যায় না। তবুও এমন অনাকাঙিক্ষত মন্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল দুঃখ প্রকাশ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন প্রতিটি ব্যাক্তির ব্যাক্তিস্বাধীনতায় যেমন বিশ্বাস করে, তেমনই সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগ ও অনুভূতিকেও ধারণ করে। এ বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি না করার বিনীত অনুরোধ রইলো। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে সকল কর্মকাণ্ডে আছে, ছিলো এবং থাকবে।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে আমরা জবি ছাত্রদল পাশে রয়েছি। ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করতে ও শিক্ষার্থীদের জন্য অস্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থার দাবিতে শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের সঙ্গে মাঠে অবস্থানে গেছি। অনশনরত অসুস্থ্য শিক্ষার্থীদের দেখতে আমরা হাসপাতালে গেছি। শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা ছাত্রদল পাশে থাকব। আর ব্যক্তিগত কারো মতামত ছাত্রদলের নয় এবং ছাত্রদল কারো বাক স্বাধীনতাও হরণ করে না। ব্যক্তির দায় সংগঠনের নয়।
এর আগে এক ফেসবুক পোস্টে জবি ছাত্রদল নেতা রিয়াসাল রাকিব লেখেন, “ছাত্র অধিকার পরিষদ, শিবির, তথাকথিত বৈষম্যবিরোধী, চোর, বাটপার, দালালদেরকে সঙ্গে নিয়ে নাটক সাজাইয়া স্টুডেন্টদের মাঠে নামাইয়া আন্দোলন ভালোই হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য ছিল জকসু ইলেকশনের জন্য নিজেদের ফেইস ফোকাস করা। আমরা ধৈর্য্য সহকারে সব কিছু অবজার্ভ করেছি। আমরা কোনো ক্রেডিট নেওয়ার জন্য আন্দোলনে আসিনি। সবচেয়ে বড় সংগঠন হওয়া সত্যেও আমাদেরকে মাইনাস করেই সবকিছু করা হয়েছে। তবুও আমরা পাশে ছিলাম।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের চোখে ধোঁয়া দিয়ে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে আগামীতে এই ধরনের মুনাফিকমার্কা আন্দোলনের স্বপ্ন দেইখেন না। আর ভুলেও নেতৃত্ব দেওয়ার চিন্তা কইরেন না। মুনাফিকদের সহযোগিতা করা, পা চাটা গুটি কয়েক মুনাফিক শিক্ষকদের জন্যও একই বার্তা।”
তবে তার এ ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে রিয়াসাল রাকিব গণমাধ্যমকে বলেন, “এই আন্দোলনে শুরু থেকে ছাত্রদল পাশে ছিল। কিন্তু শেষে যারা কর্মসূচি ঘোষণা করছে, তারাও একটি ছাত্র সংগঠনের। তারা কোন সাধারণ শিক্ষার্থী নয়। রাকিবকে আমি চিনি, সে একটা সংগঠনের সভাপতি। আর শিবিরের ছিল দুজন প্রতিনিধি। কিন্তু একটা আন্দোলনে সব সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসেই সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ছাত্রদলের কাউকে ডাকা হয়নি। এরা দুজন সিন্ডিকেট করে বলে দিল, দুদিন ক্লাস পরীক্ষা নাই, তাহলেই হয়ে গেল? পেছন থেকে কারা এসব কলকাঠি নাড়ছেন, এসব আমরা তো বুঝি। ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী করতেছে?
মন্তব্য