মো.জিয়াউল ইসলাম, পাথরঘাটা প্রতিনিধি :
রাতের আঁধারে পাহারারত লোকজনের হাত পা বেধে, মুখোশরত অবস্থায় দশ থেকে বার জনের একটি চোরের দল প্রায় দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকার মালামাল ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে।
১৯ জানুয়ারি রাত ২টার দিকে বরগুনার জেলার পাথরঘাটা উপজেলা কালমেঘা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় এক দুর্ধর্ষ চুরি ঘটনা ঘটেছে।
ওই এলাকায় একটি সরকারি মার্কেট নির্মাণে খান এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করে আসছিল। গত রাত দুইটা দিকে ১০ থেকে ১২ জন লোকের একটি চোরের মুখোশরত অবস্থায় ওই প্রতিষ্ঠানের সাব-কন্টাকটার মোঃ শহিদুল ইসলামসহ কর্মচারী কে হাত-পা বেঁধ নিজ প্রতিষ্ঠানের টমটম গাড়িতে থাকা দুই টন রডসহ একশ ব্যাগ সিমেন্ট দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাই করে নিয়ে যায়।
সাবকন্টাকটার মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান।
১৮ জানুয়ারি বিল্ডিং এর দৈনন্দিন কাজ শেষ করে আমরা ঘুমাতে যাই, রাত দুইটার দিকে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল মুখোশ পরা অবস্থায় আমাদের হাত পা বেঁধ ফেলে, আমাদের গাড়ী ড্রাইভার গাড়ি তে থাকা দুই টন রড ও একশ ব্যাগ সিমেন্ট ছিনতাই করে নিয়ে যায় । ঘন্টাখানে পরে মুখোশ পরা ডাকাতের দল ও ড্রাইভার সহ শুধু গাড়ী ফেরত দিয়ে যায়। এবং যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে চলে যায়। তবে আমরা কাউকে চিনতে পারিনি।
একই বাজারের পাহারাদার মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, রড ও সিমেন্ট নিয়ে যাওয়ার সময় আমি দেখেছি কিন্তু আমি কাউকে চিনতে পারিনি। আমি আমার বাজার কমিটির সভাপতি কে জানিয়েছি।
বাজার কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বাজার পাহারাদার হারুন আমাকে ফোন করে জানিয়েছেন তবে তিনি কাউকে চিনতে পারেননি, এমন একটি ঘটনা ঘটবে আমাদের এই বাজারে, এটা আমি আশা করিনি। তবে খতিয়ে দেখা হবে কারা চুরির সঙ্গে জড়িত।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন,এমন ঘটনা আমাদের এলাকায় এর আগে কখনো ঘটেনি তবে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা আছেন তারা জড়িত থাকতে পারে। প্রশাসনের লোক তদন্ত করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খান এন্টারপ্রাইজএর প্রোপ্রাইটার মোঃ খলিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার খান এন্টারপ্রাইজ মালিক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ খলিলুর রহমান ৪ কোটি টাকায় এই কাজটি পান। গত বছরের জুন মাসে কাজটি শুরু করে এখনো কাজ চলমান রয়েছে।
পাথরঘাটা থানায় যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য