সুমন গাজী,বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কেন্দ্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এই পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি কমাতে বাকৃবির শিক্ষার্থীদের তৈরি ‘এক্সাম হল ফাইন্ডার’ সফটওয়্যারটির আপডেটেড ভার্সন উন্মোচন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদীয় সভাকক্ষে সফটওয়্যারটির হালনাগাদ ভার্সনের উদ্বোধন করা হয়। সফটওয়্যারটি মূলত ভর্তি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। এটি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার কক্ষের অবস্থান ও সেখানে পৌঁছানোর সহজ উপায় প্রদর্শন করবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভর্তিচ্ছুরা অচেনা পরিবেশে পরীক্ষার কক্ষ খুঁজতে গিয়ে বিপাকে পড়েন। এই সমস্যার সমাধানেই ‘এক্সাম হল ফাইন্ডার’ সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনলাইনে রোল নম্বর দিয়ে সার্চ করলেই পরীক্ষার হলের অবস্থান ও মানচিত্র দেখতে পারবেন। এতে পরীক্ষার্থীদের সময় সাশ্রয় হবে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে।
প্রয়োজনীয় অ্যাপে পৌঁছাতে লিংকে ( https://bie.bau.edu.bd/ExamHall/) ক্লিক করলে কাঙ্ক্ষিত তথ্য পাওয়া যাবে।
সফটওয়্যার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জয়নাল আবেদীন, বাকৃবি আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো রোস্তম আলী, ফার্ম স্ট্রাকচার এন্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আলী আশরাফ এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিকস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেছবাহ উদ্দিন।
সফটওয়্যারটি তত্ত্বাবধান করেছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেছবাহ উদ্দিন। বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক হাওলাদার (তৃতীয় বর্ষ), মুহাম্মদ ইশমামুল হক (দ্বিতীয় বর্ষ), এবং মো. আসিফুজ্জামান (প্রথম বর্ষ) সফটওয়্যারটির হালনাগাদে কাজ করেছেন।
সফটওয়্যারের আপডেটেড ভার্সনটিকে সময়োপযোগী বলে মন্তব্য করেছেন ডিন অধ্যাপক মো. জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ম্যাথমেটিক্স বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকদের সহযোগিতায় এবং ড. মেজবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে ছাত্রদের নিয়ে অ্যাপটি আপডেট করেছে এর জন্য আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ থেকে যারা পরীক্ষা দিতে আসবে তারা কোনো ঝামেলা ছাড়াই যেন পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে পারে এজন্যই মূলত অ্যাপটি আপডেট করা হয়েছে। এজন্য বিভাগের সম্মানিত শিক্ষকদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং পাশাপাশি যে ছাত্ররা এখানে সময় দিয়েছে এবং সুন্দর ভাবে অ্যাপটি আপডেট করেছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
সফটওয়্যারটির ভবিষ্যৎ নিয়ে সহযোগী অধ্যাপক মেছবাহ উদ্দিন বলেন, আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা এই ধরনের বাস্তব সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে যেটা তাদের কর্ম জীবনে নিশ্চিতভাবে সাহায্য করবে এবং দ্রুত চাকুরী পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।ভবিষ্যতে এই ধরনের উদ্ভাবন ক্যাম্পাসকে ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ অটোমেশনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।আমি এই সিস্টেম তৈরির সাথে জড়িত বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রীর শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
মন্তব্য