জাবি প্রতিনিধি
‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ শীর্ষক স্লোগানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের তথ্য সহায়তা, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা বাধঁন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাশে ছবি চত্বরে বুথ স্থাপন করে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পরীক্ষার্থীদের বিনামূল্যে রক্ত সনাক্তকরণ ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালন করছে সংগঠনের সদস্যরা। পাশাপাশি তথ্য সহায়তা কেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালনা করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় বাঁধন জোন।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, প্রত্যেকদিন ৩টি হল ইউনিট স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ও বিনামূল্যে রক্ত সনাক্তকরণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে। স্বেচ্ছাসেবীরা প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক পরীক্ষার্থীকে সেবা দিচ্ছে।
সেবা নিতে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী শাহনেওয়াজ শেখ বলেন, বাধঁনের উদ্যোগটি প্রশংসার দাবীদার। তারা আমাদেরকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয় করে দিচ্ছে। এটি আমাদের রক্ত নেওয়ার প্রয়োজনে এবং কখনো রক্ত দানের সময় সহায়তা করবে। আমি আমার রক্তের গ্রুপ নির্নয় করেছি। একজন স্বেচ্ছাসেবক তাৎক্ষণিক আমার রক্তের গ্রুপ শনাক্ত করে দেয়।
জাবি শাখা বাঁধনের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমরা বরাবরের মতই এবারো ভর্তিচ্ছু তরুন শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে তথ্য সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করেছি এবং ফ্রি-তে রক্তের গ্রুপ নির্নয় করার মাধ্যমে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করছি। আমরা দুপুর ২ টা পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জনকে সেবা দিয়েছি। আশা করছি এই সংখ্যাটি ২০০ ছাড়িয়ে যাবে। প্রতিবছর আমাদের থেকে ১ হাজার থেকে ১২শ শিক্ষার্থী সহায়তা নেয়। আমাদের এই সেবাটি প্রতিদিন পরিক্ষা শুরুর ১ ঘন্টা আগে শুরু হয়ে পরিক্ষা শেষ হওয়ার আধঘন্টা পর পর্যন্ত চলে।
বাঁধন সবসময়ই জীবন্ত ব্লাড ব্যাংক হিসেবে কাজ করে থাকে। আমরা এখান থেকে সেবা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের তথ্য দিয়ে একটি ডেটাবেজ তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যখন আমাদের সাথে যোগাযোগ করা হয় তখন আমরা এখান থেকে নিকটস্থ ডোনারের তথ্য তাদেরকে দিয়ে থাকি।
উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি ২০০৪ সালের বাঁধন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জোনের পথচলা শুরু করে। সেচ্ছায় রক্তদানকে সামাজিক আন্দোলনে গড়ে তোলা বাঁধনের মূল উদ্দেশ্য।
এছাড়াও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, শীতার্তদের মাঝে বস্ত্র বিতরণসহ নানা রকমের সামাজিক কার্যক্রম করে থাকে। বর্তমানে ২১ টি আবাসিক হলে তাদের কমিটি রয়েছে।
মন্তব্য