খুলনার কয়রা উপজেলায় সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর দেওয়ার নাম করে প্রতারণার দ্বায়ে একজন কে আটক করেছে কয়রা থানা পুলিশ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের শিমলারআইট গ্রামের মোঃ সিরাজুল ইসলাম সরদারের পুত্র মোঃ সাকিব সরদার (৩১)। রবিবার (৩১ জুলাই) কয়রা বাজার থেকে তাকে কয়রা থানা পুলিশ আটক করে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাকিব কে প্রতারণার অভিযোগে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস। জানা যায়,উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করে সাকিব লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।সে বিভিন্ন সময় ইউএনও সেজে ভুক্তভোগীদের সাথে মোবাইল ফোনে ইউএনও পরিচয় দিয়ে কথা বলতেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এ চক্রের আরেক হোতা মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা গ্রামের আব্দুর সাত্তার সানাকে ভুক্তভোগীরা আটক করে কয়রা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ এ বি এম এস দোহা বলেন, বিভিন্ন সময়ে ইউএনও ও বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন সাকিব। তাকে আজ আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, একটি প্রতারক চক্র উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে এই চক্রের প্রধান সাকিব আত্মগোপন করে। আজকে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জি এম রিয়াজুল আকবর
মন্তব্য