লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়া গাছ ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভাঙ্গনের মুখে ০৪ কোটি টাকায় নব-নির্মিত স্কুল ভবন সহ শতাধিক বসত বাড়ী।
সোমবার (০১লা আগষ্ট)লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে আসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান,এ সময় তার সাথে ছিলেন খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদল।
খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের খোলাহাটি,দীঘলটারি, চোংগাদারা মৌজায় তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যে ১০টি বসত বাড়ী ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।০৪ কোটি টাকায় নবনির্মিত চোংগা দারা স্কুল ভবন টি হস্তান্তরের আগেই নদী গর্ভে বিলীন হবার আশংকা দেখা দিয়েছে,নদী ভাঙ্গন যেভাবে তীব্র আকার ধারন করেছে প্রতিরোধে ব্যাবস্থা না নিলে আগামী কয়েকদিনের মধ্য ১০০ মিটার দূরত্বের স্কুল ঘরটি বিলীন হতে পারে তিস্তা নদীর গর্ভে।
তিস্তা নদীর গর্ভে বসত বাড়ী ফসলি জমি হারিয়ে মনজিরা,রহমত,শমসের,রসিদুল,হাজরা,আনোয়ার নেরপেটু,মনদ্দি এখন অন্যের বাড়ী ও সড়কে আশ্রয় নিয়েছেন,তারা জানায় তিস্তার ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হয়ে গেয়ছেন,এখনই ব্যাবস্থা না নিলে শতাধিক বাড়ী নদী গর্ভে খুব দ্রুত বিলীন হয়ে যাবে।খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদল বলেন দীঘলটারি,খোলাহাটি ও চোংগাদারা মৌজায় তিস্তার ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে,দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া না হলে চোংগাদারা নব নির্মিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি রক্ষা করা যাবেনা।স্কুলটি ০৪ কোটি টাকা চুক্তি মুল্যে নির্মিত হয়েছে শেষ মুহুর্ত্যের ফিনিসিং চলছে এখনও হস্তান্তর করা হয়নি, ১০০ গজ দুরত্বে নদীর ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় তীব্র ঝুঁকিতে আছে সরকারি অর্থ ব্যায়ে এই প্রতিষ্ঠানটি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙ্গন আজ পরিদর্শন করেছি আমি,বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী কে অবগত করা হয়েছে,আশা রাখি দ্রুত কার্যকর ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
মোঃ আলম, লালমনিরহাট
মন্তব্য