বিশ্ববাজারে কমছে জ্বালানি তেলের দাম। পশ্চিমা দেশগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে মন্দার শঙ্কায় কমে গেছে জ্বালানি তেলের চাহিদাও। গতকাল সোমবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিশ্ববাজারে গেল বেশ কয়েক মাস নিম্নমুখী জ্বালানি তেলের দাম।
তবে চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু ইতিবাচক অর্থনৈতিক তথ্যাদি প্রকাশ্যে আসার পর গতকাল সোমবার তেলের দাম বেড়ে যায়। ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৮১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৯৫ দশমিক ৭৩ ডলারে উঠে যায়। এ ছাড়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দর ৭৫ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৮৯ দশমিক ৭৬ ডলারে পৌঁছে। শুক্রবার জ্বালানি তেলের শীর্ষ ভোক্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জুলাই মাসে চাকরির বাজারের অপ্রত্যাশিত প্রবৃদ্ধির খবর প্রকাশ করেছে।
এর পাশাপাশি রোববার চীনও প্রত্যাশার তুলনায় রফতানি দ্রুত বাড়ার খবর দিয়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। তবে দিন গড়াতেই আবার কমেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। ব্রেন্ট ক্রুডের তাস ৫১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৯৪ দশমিক ৪১ ডলারে নেমে যায়। আর ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ৪৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে প্রতি ব্যারেল ৮৮ দশমিক ৫৮ ডলারে নেমে আসে।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত শুরুর পর ব্রেন্ট ক্রুডের দাম গত সপ্তাহে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়। এ সময়ে অপরিশোধিত তেলের দাম ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যায়। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর এটিই সবচেয়ে বড় সাপ্তাহিক ড্রপ। সে সময়ে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দর এক সপ্তাহে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যায়।
এদিকে বিশ্বের শীর্ষ অপরিশোধিত আমদানিকারক দেশ চীনের কাস্টমস ডেটা বলছে, জুলাই মাসে প্রতিদিন গড়ে ৮ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়েছে। যা জুনের তুলনায় বেশি। কিন্তু এখন পর্যন্ত গত বছরের তুলনায় তা ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কম।
মন্তব্য