দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিয়েছে সরকার। এখন থেকে মাত্র ৭ শতাংশ কর দিয়ে দেশের বাইরে থেকে সেই টাকা নিয়ে আসা যাবে। অর্থাৎ ১০০ টাকা নগদ আনলে ৭ টাকা কর দিতে হবে সরকারকে। তখন এ টাকা নিয়ে কেউ আর প্রশ্ন তুলতে পারবে না। গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বাইরে গচ্ছিত অপ্রদর্শিত অর্থ চলতি বছরের ১ জুলাই হতে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধভাবে দেশে এনে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করা যাবে। আগামী বছরের (২০২৩ সালের) ৩০ জুন পর্যন্ত এ নিয়ম বলবৎ থাকবে।
অর্থ আইন ২০২২ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ধারা-১৯এফ অনুসারে এ অর্থ বৈধভাবে দেশে আনা যাবে। চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এ টাকা দেশে ফেরত আনা হবে কীভাবে, সেটি এতদিন অনেকের কাছে স্পষ্ট ছিল না।
তাই বিভ্রান্তি দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হলো। তবে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয় বাজেটের পর পরই। কিন্তু এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, এ সুযোগের ফলে কমপক্ষে ১০০ কোটি (১ বিলিয়ন) ডলার দেশে আসবে।
এই বিপুল টাকা অর্থনীতির মূল ধারায় যোগ হলে চাঙা হবে দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি। এনবিআরের মতে, যে প্রক্রিয়ায় দেশে রেমিট্যান্স পাঠানো হয়, একইভাবে পাচার করা টাকাও দেশে আনতে পারবেন। এজন্য তাকে প্রথমে টাকার অঙ্ক বৈধ করার ঘোষণা দিতে হবে। ঘোষিত অর্থ বৈধ উপায় বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনতে হবে। ওই টাকা দেশে আসার পর নিজ হিসাবে (অ্যাকাউন্ট) জমা করতে হবে।
মন্তব্য