নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবি মূল্যবৃদ্ধি ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বন্দর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ওই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল, সহ-সভাপতি মো. বাচ্চু মিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন ভাওয়াল, সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুর নবী ওসমানী, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন প্রধান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মো. আফজাল হোসেন, সহ-সভাপতি কাজী মহসিন, হাজী নুরুল ইসলাম, আবুল বাশার বাছেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মতিউর রহমান মুক্তি, মো. শরীফ হোসেন সাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফয়সাল আহম্মেদ ভূইঁয়া, মহানগর যুব সংহতির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন ভূইয়া, যুব সংহতির বন্দর উপজেলার আহবায়ক রোমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু বলেন, বর্তমান সরকার আত্মঘাতী ভাবে রাতের অন্ধকারে সারা বাংলাদেশের চলমান অবস্থাকে বন্ধ করে দিয়েছে। যার সাথে আমাদের ভাগ্য চাকা ও রিজিকসহ মেহনতি মানুষের, গরিবের মানুষের যে প্রতিটি পণ্য, বিভিন্ন স্থান থেকে, জেলার থেকে আসতে যে চাকা ঘুরতে হয় সেই তেলের দাম প্রতি লিটারে ৪৫ টাকা রাতের অন্ধকারে বৃদ্ধি করেছেন। আমরা এর প্রতিবাদ এবং নিন্দা জানাই। কারণ গুরুত্বপূর্ণ যে খাদ্য সামগ্রী সেটা ঐ রাত্রেই বাসভাড়াসহ নিত্ব প্রয়জনিয় জিনিস বেড়ে গিয়েছে। এবং সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তাই জনগণ আমাদের এখন চায়।
তিনি বলেন, আমাদের পল্লীবন্ধু হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ, তিনি ছিলেন ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলার রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বলেছিলেন, ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে । আজকে সেই আসা-ভরসা অন্ধকার করে দিয়েছে বাংলার মানুষের।
আমি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বলি, আপনার উন্নয়নের ছোঁয়া আমার প্রতিটি এলাকায় আছে। প্রতিটি এলাকায় আপনার উন্নয়ন আর উন্নয়ন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাংলার মানচিত্র পাল্টিয়ে ছিল। পেটে ভাত না থাকলে আমরা মানচিত্রে দিয়ে কি করবো, মানুষ চায় বাঁচতে। বাংলার প্রতিটি এলাকায়ে উন্নয়ন আছে, কিন্তু প্রতি লিটার ৬৪ টাকা বৃদ্ধি করে আজকে বাংলার মানুষের ভাগ্য নষ্ট করে দিয়েছে। কে কি খাবে, না খাবে আজকে সাধারণ ক্রয় ক্ষমতার মানুষের ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। আজকে ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ১৫ কোটি লোক হলো মধ্যবৃত্ব ও নিন্মবৃত্ব পরিবারের। ধনি কয়জন আছে, আর কয়টি পরিবার ধনি।
সানু বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার পক্ষ থেকে আমার অনুরোধ, যে তেলের দাম কমিয়ে এবং মানুষের ক্রয়ক্ষমতার কাছে এনে, অতি তাড়াতাড়ি আপনার বসে মীমাংসা করবেন। আমদের যেন আন্দোলন করতে না হয়। আজকে একটা প্রতিবাদের ও বিক্ষোভের জন্য দাড়িয়েছি, এটার পরিনাম সামনে অনেক বড় হতে পারে, আর সেটা যেমন না হয়। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি অন্তত তেলের দাম খাদ্যের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোদাচ্ছেরুল হক দুলাল বলেন, আজকে আমাদের এই প্রতিবাদ সভা মূলত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের সভা। আমাদের পেটের তাড়নার সভা। যারা আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন। তাদের আজ সাধুবাদ জানাই। মন থেকে তাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আজ দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায়, খাদ্য দ্রব্য থেকে শুরু করে সব কিছুতে দাম বেড়েছে। আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ করছি, অনতি বিলম্বে তেলের দাম স্বাভাবিক মূল্য নির্ধারণ করেন।
মোঃইমরান হোসেন তালহা, নারায়নগঞ্জ
মন্তব্য