মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
 

নূপুর শর্মাকে হত্যার ছক, অভিযুক্তকে আটক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২২

ফাইল ছবি
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পর থেকেই লাগাতার হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে নূপুর শর্মাকে। বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী কখনো ধর্ষণ তো কখনো প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন। এএনআই জানিয়েছে, জইশ-ই-মুহাম্মদ (জেআইএম) এবং তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক ব্যক্তিকে আটক করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। তার নাম মুহাম্মদ নাদিম। নূপুর শর্মাকে হত্যা করার জন্য জেইএম তাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। যোগি আদিত্যনাথের রাজ্যে পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আটক মুহাম্মদ নাদিম উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের কুন্দা কালা গ্রামের বাসিন্দা।

পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মুহাম্মদ এবং তেহরিক-ই-তালেবানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল নাদিমের। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে নাদিম স্বীকার করেছেন, নূপুর শর্মাকে হত্যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। পাকিস্তানের জইশ গোষ্ঠীই এই ভার তুলে দিয়েছিল তার কাঁধে। গোপন সূত্রে উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানতে পারে, জেআইএম ও টিটিপির সঙ্গে যুক্ত জঙ্গি সাহারানপুরে রয়েছে। সে আত্মঘাতী হামলার ছক কষছে। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে নেমে নাদিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার মোবাইলের রেকর্ড ও মেসেজ ঘেঁটে পুলিশ আরো জানতে পারে, অস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তানে যাওয়ার কথা ছিল তার। আইইডি তৈরির অনলাইন প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে দুই জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে কথোপকথন চলত নাদিমের। বেশ কিছু অডিও চ্যাটও হাতে পেয়েছে সন্ত্রাস দমন শাখা।

পুলিশের দাবি, ভারতে তার সঙ্গী কে ছিল, জিজ্ঞাসাবাদে সেই নামও বলে দিয়েছেন নাদিম। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এর শিকড় কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। প্রসঙ্গত, এর আগে সীমান্ত পেরিয়ে ১১ ইঞ্চি লম্বা ছুরি হাতে পাকিস্তান থেকে এক ব্যক্তি ভারতে ঢুকে পড়েছিলেন এই একই উদ্দেশ্য নিয়ে। মহানবী (সা.)-কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা নূপুর শর্মাকে প্রাণে মেরে ফেলাই ছিল তার লক্ষ্য। কিন্তু রাজস্থানে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সূত্র : এএনআই

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon