শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
 

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে আটক পরীক্ষার্থী

মাহবুবুর রহমান জিসান
প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২২

---

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা: গুচ্ছ পদ্ধতিতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা মাহবুব হাসান নামক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃত মাহবুব হাসান শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার ধানশাই এর ছোটো মালিঝিকান্দার মোঃ আব্দুর রহমান এবং মোছাঃ লিচু বেগমের ছেলে।

শনিবার ১৩ আগস্ট ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৬০১ নম্বর কক্ষের কর্তব্যরত নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কে.এম. মাহমুদুল হক পরীক্ষার্থীর সার্টিফিকেট দেখে সন্দেহ হয়।পরে প্রক্টরিয়াল বডির জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সন্দেহভাজন শিক্ষার্থী ভিন্ন শিক্ষার্থীর পরিচয়ে প্রক্সি দিতে এসেছিলো।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে আরও ভয়াবহ চিত্র।ভ্রাম্যমাণ আদালতের পর্যালোচনায় জানা যায়, আটককৃত শিক্ষার্থী মাহবুব হোসাইনের মানিব্যাগ থেকে একই নাম সম্বলিত কিন্তু ভিন্ন বয়সের ছয়টি এনআইডি পাওয়া যায়। অনার্সের ভুয়া সার্টিফিকেটও পাওয়া যায় ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে মানবিক দিক বিবেচনা করে মুচলেকা ও অর্থদণ্ড দিয়ে সংশোধননের সুযোগ দিয়ে পুলিশ কাস্টোডিতে পাঠানো হয়েছে। তবে আদালত চলাকালীন সময়ে কিছু তথ্য দূরে সরিয়ে ফেলা হয়েছে, এমন তথ্য এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসক্লাবের নিকট। উল্লেখ্য অভিযুক্ত শিক্ষার্থী নিজেকে আওয়ামী লীগের ওলামা লীগের নেতার ছেলে বলে দাবি করেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গণমাধ্যমকে বলেন, ‘অপরাধী মানসিকভাবে অসুস্থ। যারকারণে, ভুয়া জাতীয় আইডি কার্ড ও সার্টিফিকেট নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে। আমরা তাকে মুচলেখা ও অর্থদণ্ড দিয়ে পুলিশ কাস্টোডিতে দিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, জালিয়াতির কিংবা অনৈকতার অভিযোগ প্রাথমক ভাবে সত্য প্রমাণিত হওয়ায় অধিকতর তদন্তের জন্যে সাধারন মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তার অপরাধের আওয়তা বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকায় সাধারণ ডায়েরি করা হচ্ছে।জব্দকৃত ভুয়া দলিলাদি সহ জিনিসপত্র থানা কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পাশাপাশি মামলা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
পরীক্ষায় অসাদুপায়ে পরীক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, ভর্তি পরীক্ষা সুন্দর গোছালো ভাবে হয়েছে। আমরা হ্যাপী। আর একজন আটক হয়েছে । আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমার প্রশাসন স্বচ্ছ কোন অসংলগ্নতা পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon