হোসেইন আহমেদ আমিরাত থেকেঃ প্রচণ্ড ধুলোঝড়ের কবলে পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চারটি প্রদেশ। রবিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া ধুলোর চাদরে ঢেকে গেছে আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ ও আজমানের কিছু অংশ। প্রবল ঝড়ো বাতাসে মরুভূমির বালু উড়ে এসে বাতাসের সঙ্গে ভাসছে। আবুধাবিতে হালকা বৃষ্টি থাকলেও ধুলোঝড় বেশি দুবাই, শারজাহ ও আজমান প্রদেশ৷
ধুলোঝড়ে গণপরিবহণ থেকে শুরু করে পথচারীরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাাত্রা। ব্যাহত হচ্ছে বিঘ্নিত বিমান চলাচলও। অফিসিয়াল আবহাওয়া বুলেটিনে আগামী চারদিন ধুলাঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
“এটি আশ্চর্যজনক। প্রথমে, আমি ভেবেছিলাম এটি কুয়াশা ছিল কারণ বৃষ্টির জন্য আবহাওয়ার কিছু সতর্কতা ছিল কিন্তু তারপরে আমি বাইরে গিয়েছিলাম এবং এর ধুলোর মেঘ দেখতে পেয়েছি। আমরা অফিসিয়াল হ্যান্ডেলগুলি থেকে সতর্কতাগুলি ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করছি,” বলেছেন রাজধানী আবুধাবির বাসিন্দা মোহাম্মদ জাকসা।
ধুলোঝড়ে বুর্জ খলিফা এবং আইন দুবাইয়ের মতো বিশিষ্ট ল্যান্ডমার্কগুলি আড়াল হয়ে গিয়েছিল কারণ অনেক এলাকায় দৃশ্যমানতা ৫০০ মিটারেরও কম হয়ে গেছে।
দুবাই প্রবাসী ব্যবসায়ী ইমদাদুল্লাহ বলেন, “ধুলোঝড়ের কারণে গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে৷ দিন দুপুরেও লাইট জ্বালায়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে৷ শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা কিছুটা দেখা দিয়েছে। মাস্ক ছাড়া স্বাভাবিক চলাফেরা করা সম্ভবপর হচ্ছে না”।
পুলিশ উচ্চ বাতাস এবং ধুলোর সময় কম দৃশ্যমানতার কারণে গাড়ি চালকদের “সতর্ক” হওয়ার জন্য এবং ধুলোময় আবহাওয়ার ছবি না তোলার আহ্বান জানিয়েছে। চালকদের মহাসড়কে সর্বোচ্চ ৪০ কিলিমিটার বেগে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উচ্চ বাতাস এবং ধুলোর সময় কম দৃশ্যমানতার কারণে গাড়ি চালকদের “সতর্ক” হওয়ার আহ্বান,। “আপনার নিরাপত্তার জন্য এবং রাস্তায় অন্যদের নিরাপত্তার জন্য, দয়া করে কোনো ভিডিও তোলা বা আপনার ফোন ব্যবহার করে বিভ্রান্ত হবেন না”, পুলিশের সতর্কতা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
মন্তব্য