মোঃ সাগর হাওলাদার ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ভরা মৌসুমে পেয়ারা পারা ও বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার পেয়ারা চাষীরা। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পদ্মাসেতু হওয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য নেওয়া যাচ্ছে পেয়ারা । ফলে ভাল দাম পেয়ে খুশী এখানকার পেয়ারা চাষীরা। কৃষি বিভাগের বলছেন, কৃষকদের বিভিন্ন রকমের প্রশিক্ষন সহ সব ধরনের সহযোগীতা করা হয়েছে। তাই এবছর ফলন ভালো হয়েছে বলে দাবি করেন কৃষি বিভাগ।
ঝালকাঠি কৃষি বিভাগের তথ্য মতে জেলায় এবছর ৬২৯ হেক্টর জমিতে পেয়ারার চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৬ হাজার মেট্রিকটন। ঝালকাঠি সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা, নবগ্রাম ও গাভা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে ৯৫ ভাগ পেয়ারার চাষ হয়। এর মধ্যে কীর্ত্তিপাশার ভীমরুলী, খেজুরা, ডুমরিয়া, মীরাকাঠি, খোদ্দবড়হার, নবগ্রামের শতদশকাঠি, জগশীদপুর ও শাখাগাছি গ্রামের প্রায় শতভাগ পরিবার পেয়ারা চাষের সাথে সম্পৃক্ত। শত বছরের বেশি সময় ধরে এখানকার পেয়ারা চাষ করে আসছেন ।
বাগান থেকে পেয়ারা পেরে এনে নৌকায় করে পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হয়। পাইকাররা ট্রাক যোগে এসব পেয়ারা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন। ভীমরুলী খালে সবচেয়ে বড় ভাষমান পেয়ারার হাট বসে। বাংলা শ্রাবন মাসের প্রথম থেকে ভাদ্রমাস পর্যন্ত পেয়ারার মৌসুম। এসময় প্রতিদিনই এখানে পেয়ারা বিক্রি হয়। তবে অন্য দিনের তুলনায় শুক্রবার কেনা বেচা বেশি হয়। বর্তমানে মন প্রতি পেয়ারা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে। এক মৌসুমে কয়েক কোটি টাকার বাংলার আপেল, পেয়ারা বিক্রি হয় এই ঝালকাঠি থেকে।
মন্তব্য