শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
 

বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মেহনতী মানুষের পাশে ছিলেনঃজবি ভিসি

JK0007
প্রকাশ: ২৩ আগস্ট ২০২২

---
সাকেরুল ইসলাম,জবি প্রতিনিধিঃবঙ্গবন্ধু সারজীবন মেহেনতী মানুষের পাশে ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড.মো.ইমদাদুল হক।সোমবার(২২ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক কেন্দের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চা ও সহশিক্ষা কার্যক্রম যখন বেশি অনুশীলন হবে তখনই একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়।বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে চিত্রকর্ম আয়োজনের বিষয়টি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। যেখানে শিশুরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন মেহনতী পাশে ছিলেন এবং শিশুরা ছিল তার সবচেয়ে প্রিয়। শিশুদের চিত্রাঙ্কনে বঙ্গবন্ধুকে ফুটিয়ে তোলার উদ্যোগটি ব্যতিক্রম।

এদিন দুপুর আড়াইটায় বঙ্গবন্ধু শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা শেষে পুরষ্কার বিতরণী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভা শেষে গত ১৫ আগস্ট ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধু শিল্পকর্ম প্রদর্শনীর সেরাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় দুই (ক,খ) বিভাগে ৬ জন এবং শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে ৬ জন পুরস্কার লাভ করেন।

শিশু চিত্রাঙ্কনের ‘ক’ বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন আলামিন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল আয়ান, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন যথাক্রমে জান্নাতি মেহজাবিন ও আফরা ইয়াসমিন আভা। ‘খ’ বিভাগ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেন ভিকারুন্নেছা নুন স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আনিসা হাসনত, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন যথাক্রমে ঈশান পাল ও হায়দার আলী সিয়াম।

বঙ্গবন্ধুর শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে
প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রাউফুন নাহার রিতু, সম্মান সূচক পুরস্কার পেয়েছেন ফরজানা আলম, ফাইয়াজ হোসেন,জান্নাতুল ফেরদৌস মীম
প্রত্যাশা, সিংহ বন্যা ও শিব শংকর।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক সৈয়দা মাহবুবা করিম বলেন, পুরস্কার পাওয়াটাই বড় কথা নয়। যেকোন প্রদর্শনী বা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করাটাই একজন শিল্পীর জন্য বড় বিষয়। বিশ্বে বহু শিল্পী রয়েছে যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কম থাকলেও প্রতিভার কমতি নেই। একটি সমাজ গড়তে হলে কেবল শিক্ষা নয় সাহিত্য, শিল্প, সংগীত ও সংস্কৃতি প্রয়োজন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উপদেষ্টা চারুকলা বিভাগের চেয়ার অধ্যাপক ড. বজলুর রশীদ খান বলেন, শোকের মাসে এটি ব্যতিক্রমী আয়োজন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বরাবরই এই কর্মসূচি আয়োজন করে থাকে। একটি শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অপরটি বড়দের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও সংস্কৃতির প্রতি আলাদা ভালোবাসা ও টান ছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বিগত কয়েক বছর ধরে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকীর দিনটি যেভাবে পালন করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরী হয়েছিল। এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে শিল্পী সমাজ ও সংস্কৃতির ভূমিকা প্রয়োজন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় ও সভাপতি আসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরবৃন্দ,বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon