গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ ‘সি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত ফলাফলে সর্বোচ্চ ৮৬.৭৫ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন ইশিকা জান্নাত। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজর শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।তার গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ১.৩০ টায় গুচ্ছভুক্ত ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশিত হয়। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) তে শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত প্রোফাইল লগইন করে ফলাফল দেখা যাবে।
গুচ্ছ ভর্তি কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড.মো.ইমদাদুল হক জানান গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৪২ হাজার ১৮০ জন। পরীক্ষায় অংশ নেন ৩৯ হাজার৭৩ জন। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাশ করেছে ২৩হাজার ২২৮জন।যা অংশগ্রহনকারীর শিক্ষার্থীদের ৫৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ ছাড়াও বিভিন্ন কারণে পরীক্ষা বাতিল হয় ৬ জন শিক্ষার্থীর যা মোট অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর ০.০১ শতাংশ।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক ও চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক মো.নাছিম আখতার জানান, গুচ্ছ সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৩৯ হাজর ৭৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছিল। এদের পাস করেছে ২৩ হাজার ২২৮ জন।আর ৩০ মার্কের কম পেয়ে অকৃতকার্য হয়েছে ১৫ হাজর ৮৩৯ জন।যা ৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এবারের গুচ্ছ মানবিক বিভাগের পরীক্ষায় ৮৫ নম্বরের উপরে পেয়েছে ৩ জন, ৮০ নম্বরের উপরে পেয়েছে ২৬ জন, ৭৫ নম্বরের উপরে পেয়েছে ১৬৩ জন, ৭০ নম্বরের উপরে পেয়েছে ৫৭৯ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে পেয়েছে ১ হাজর ৪৮৫ জন, ৬০ নম্বরের উপরে পেয়েছে ৩ হাজার ১৩৯ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে পেয়েছে ৫ হাজার ৪৮৫ জন, ৫০ নম্বরের উপরে পেয়েছে ৮ হাজার ২৬৮ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে পেয়েছে ১১ হাজার ৩৯৩ জন, ৪০ নম্বরের উপরে পেয়েছে ১৪ হাজর ৯২৮ জন, ৩৫ নম্বরের উপরে পেয়েছে ১৮ হাজার ৮৯৪ জন আর পাস মার্ক ৩০ এর উপরে পেয়েছে ২৩ হাজার ২২৮ জন।এবারের সর্বনিম্ন নম্বর হলো ( -৮.৭৫)।
প্রসঙ্গত, গত ২০ আগস্ট দেশের ২২টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতির বাণিজ্য অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ তার ফল প্রকাশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ
সাকেরুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি
মন্তব্য