বঙ্গবন্ধুর ক্ষমতার প্রতি কোন মোহ ছিল না, কিন্তু তিনি বলতেন দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আমাকে ক্ষমতায় যেতে হবে। ঠিক একই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , আমি ক্ষমতা চায় না তবে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ক্ষমতায় যেতে চায়। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন,ক্ষমতায় যাওয়ার ফলশ্রুতিতে বাংরাদেশে আজ কোন প্রত্যন্ত এলাকা নেই। সবখানে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌছে গেছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কর্তৃক জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় শিক্ষামন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,হত্যাকারীরা যদি আসলেই চাইত বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে তাহলে শুধু বঙ্গবন্ধুকেয় হত্যা করলে হতো।তার পরিবারের পুরো সদস্যকে কেন হত্যা করা হলো?।হত্যাকারীদের উদ্যেশ্য বঙ্গবন্ধুকে নিঃশেষ করা নয় পুরো একটি আদর্শকে নিঃশেষ করে দেওয়া।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে পুরো রাজনৈতিক ধারাটি বিষক্রিয়া করে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এবং রাজনীতি সম্বন্ধে একটি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টির প্রয়াস চালিয়েছিল।
মন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ক্ষমতার প্রতি কোন মোহ ছিল না, কিন্তু তিনি বলতেন দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য আমাকে ক্ষমতায় যেতে হবে। ঠিক একই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা , আমি ক্ষমতা চায় না তবে দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ক্ষমতায় যেতে চায়। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন,ক্ষমতায় যাওয়ার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশে আজ কোন প্রত্যন্ত এলাকা নেই। সবখানে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌছে গেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস চর্চার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন,বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আমাদের আরো বেশী গবেষনা করতে হবে, তাই সামনের নতুন পাঠ্যবইতে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসকে আরো যুক্ত করার চেষ্টা করতেছি।
মন্ত্রী আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু ভবিষ্যৎ অনুমান করতে পারতেন। তিনি যাই বলেছেন তা সব কিছু সংগঠিত হয়েছে।তবে তিনি একটা বিষয় অনুমান করতে পারেন নাই, সেঠা হলো তাকে হত্যা করা হবে। তার কারণ হলো তিনি বাংরাদেশের মানুষকে খুব ভালোবাসতেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান, প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম।
শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
জবি প্রতিনিধি: সাকেরুল ইসলাম,
মন্তব্য