পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা মজুরির ও কারাবন্দি শ্রমিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে সমাবেশ করেছে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র (জিটিইউসি) নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। একই সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের মুনলাক্স অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানা খুলে দেয়ার দাবিও জানান তারা।
বুধবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি এম এ শাহীন।
এসময় বক্তব্য রাখেন টিইউসি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, জিটিইউসি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহসভাপতি আব্দুস সালাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস মুনলাক্স গার্মেন্টসের শ্রমিক সাহারা বেগম প্রমুখ।
শ্রমিক নেতারা বলেন, জ্বালানি তেল, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে শ্রমজীবী মানুষ আজ দিশেহারা। মূল্যবৃদ্ধির এই বাজারে গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে টাকা মজুরি পায় সেই টাকা দিয়ে কোনোভাবেই জীবনধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। দফায় দফায় সব কিছুর দাম বাড়ানো হচ্ছে কিন্তু শ্রমিকের মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। ফলে শ্রমিকরা তাদের তিন বেলা পেটের ভাতের নিশ্চয়তার জন্য দেশের বিভিন্ন শিল্প এলাকায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে। শ্রমিকদের এই চলমান আন্দোলন দমনে সরকার গ্রেফতার ও নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, দমন পীড়নের পথ পরিহার করে বিলম্বে মজুরি বোর্ড গঠন করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিন্মতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করতে হবে। দমন-পীড়ন করে শিল্পের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করা যাবে না। সিদ্ধিরগঞ্জের মুনলাক্স অ্যাপারেলস লিমিটেড বে-আইনিভাবে বন্ধ ঘোষণা করে ৩ শতাধিক শ্রমিককে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। তাঁদের আগস্ট মাসের মজুরি পরিশোধ ও কারখানা খুলে দিয়ে উৎপাদনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। অন্যতায় শ্রমিকদের আইনি ক্ষতিপূরণ প্রদান করে দ্রুত সংকট নিরসন করতে হবে।
গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে সমাবেশে জিটিইউসির নেতারা বলেন, সারাদেশে পুলিশ এবং সরকার দলীয় নেতারা সিন্ডিকেট করে প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান চালকদদের কাছ থেকে বিরাট অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আশুলিয়ায় রিকশা-ভ্যান শ্রমিকদের ওপর জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর ফলে পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক টিইউসির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম মিন্টুসহ ৬ নেতাকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তি দাবি জানান তারা।
নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি, মোঃ ইমরান হোসেন তালহা
মন্তব্য