মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চা বাগান মালিকদের বৈঠকে চা-শ্রমিকের মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে শ্রমিক ও নেতৃবৃন্দ একমত এবং খুশি হয়েছেন। আগামীকাল থেকে তারা কাজে ফিরবেন। বৈঠকের পর শনিবার (২৭ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণ চা শ্রমিকরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে একমত ও খুশি। সোমবার থেকে আমরা কাজে ফিরবো।’
এর আগে শনিবার (২৭ আগস্ট) বেলা সোয়া ৪টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে চা বাগান মালিকদের বৈঠক শুরু হয়। ওই বৈঠকে ১৩টি চা বাগান মালিক উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস গণমাধ্যমকে মজুরি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাতগাঁও চা বাগানের পঞ্চায়েত সাধারণ সম্পাদক সুদিপ কৈরী বলেন, ‘আপাতত আমরা মিছিল-মিটিং করছি না। প্রধানমন্ত্রী যে রায় দিয়েছেন তা মেনে নিলাম।’
তবে নবগঠিত চা-শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মোহন রবি দাশ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘোষণা আমরা গণমাধ্যমে শুনেছি। সাধারণ শ্রমিকাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।
চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ চা-শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ
১২০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলনে নামেন দেশের ১৬৬ চা-বাগানের দেড় লাখের বেশি শ্রমিক। সেদিন থেকে চার দিন পর্যন্ত দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। এরপর গত ১৩ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পুরোদমে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ শুরু করেন চা-বাগানের শ্রমিকরা।
১৯ আগস্ট রাতে মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করার বিষয়ে একটি ঘোষণা দেওয়া হলেও সেটি প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যান চা-বাগানের শ্রমিকরা। এর মধ্যে কয়েক দফা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি।
আন্দোলন সফল করতে সড়ক, মহাসড়ক, রেলপথ অবরোধ করতে দেখা গেছে তাদের। দাবি আদায়ে গত কয়েক দিন ধরে বেশ উত্তাল ছিল চা-বাগানগুলো।
মন্তব্য