আশুলিয়া শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে স্ত্রীর সাথে কলহের জের ধরে স্বামীর আত্মহননের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (২৮ আগস্ট) সকালে আশুলিয়ার কান্দাইল এলাকার লোকমান হোসেনের বাড়ি থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই বাড়িতে নিহতের শ্বশুর তমিজ উদ্দিন বিশ্বাস তার পরিবারসহ বসবাস করেন। এই বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের নাম লোকমান হোসেন (২৫)। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার সরকারহাট গ্রামের মো. কামাল হোসেনের ছেলে। চট্টগ্রামে লোকমান হোসেনের দর্জির দোকান ছিলো। নিহতের বাবা মো. কামাল হোসেন বাদী হয়ে ছেলের স্ত্রী পাপিয়া ও শ্বশুর তমিজ উদ্দিনকে আসামী করে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচণার মামলা করেন।
আসামীরা বর্তমানে আশুলিয়ায় বসবাস করলেও তাদের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার আতাইকুলা থানার চৌমরপুর গ্রামে।
নিহতের বাবা মো. কামাল হোসেন বলেন, আড়াই মাস আগে আমার ছেলে লোকমান হোসেনের সাথে তমিজ উদ্দিনের মেয়ে পাপিয়া বেগমের (২০) সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নেয়া হয়নি। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই পাপিয়া বিভিন্ন সময় আমার ছেলেকে অপমানমূলক কথা বার্তা বলতে থাকে। গত ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম থেকে লোকমান হোসেন আশুলিয়ায় তার শ্বশুর বাড়িতে আসে। পরে ২৭ আগস্ট রাতে বিয়ের অনুষ্ঠান নিয়ে আমার ছেলেকে তার স্ত্রী ও শ্বশুর অপমান করে। পরদিন তমিজ উদ্দিন ফোন করে জানায় আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই এমদাদুল হক বলেন, আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের মরেদহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আব্দুল কাইয়ুম,সাভার
মন্তব্য