মৌলভীবাজারের বড়লেখায় দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত বাবুল হোসেন (৪২) মারা গেছেন। শনিবার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
রোববার দুপুরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। নিহত বাবুল দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির মোহাম্মদনগর গ্রামের মৃত আব্দুন নুরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির ছোটলেখা চাবাগানের টিলাবাবু মাসুদ আহমদ বাবুল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেল করে বড়লেখা সদরে রওয়ানা হন। দ্রুত গতি চলা তাদের মোটরসাইকেলটি বড়লেখা সরকারি কলেজের সামনে পৌঁছামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি মোটরসাইকেলে থেকে পড়ে চারজন আরোহী গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরমধ্যে বাবুল হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে তিনি মারা যান।
দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য আব্দুল মান্নান রোববার বিকেলে মুঠোফোনে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছোটলেখা চাবাগানের টিলাবাবু মাসুদ আহমদ বাবুল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বড়লেখা সদরে যাচ্ছিলেন। বড়লেখা সরকারি কলেজের সামনে পৌঁছামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলে সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি মোটরসাইকেলে আরোহীরা আহত হন। এরমধ্যে বাবুল গুরুতর আহত হন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতেই তিনি মারা যান। বাবুলের পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তাই তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
বড়লেখা প্রতিনিধি: মোঃইবাদুর রহমান জাকির
মন্তব্য