নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নিজ বাসা থেকে সোহাগ
(২৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ চাকরি হারিয়ে ঋণগ্রস্ত এ যুবক পারিবারিক চাপ নিতে না পেরে গলায় ফাঁল লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের৷
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানান, রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ফতুল্লার সস্তাপুরের গাবতলা এলাকায় নিজ বাসা থেকে পুলিশ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে৷ নিহত সোহাগ ওই এলাকার মৃত. সেলিম মিয়ার ছেলে। ওই যুবক ঋণগ্রস্ত ছিল বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের লোকজন৷ তাদের ভাষ্য, আর্থিক চাপে পড়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন৷
নিহতের স্ত্রী রোমানা জানান, তাদের দেড় বছরের কন্যা সন্তান আছে। একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতো সোহাগ৷ বছরখানেক হয়েছে তার চাকরি চলে যাওয়ায় সংসার চালাতে নানাজনের কাছ থেকে ঋণ করে সোহাগ। ঋণের টাকা পরিশোধ করা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিল সে৷ গতরাতে বাসার সামনে থাকা আম গাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে সোহাগ৷
১০ বছর বয়সে বাবা মারা যাওয়ার সোহাগ সংসারের হাল ধরেন বলে জানান তার মা সুফিয়া বেগম৷ তিনি বলেন, “সোহাগ ভালো ক্রিকেট খেলতো। নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের জেলায় গিয়ে ক্রিকেট খেলে সুনাম কুড়িয়েছে সোহাগ। সংসার চালাতে গার্মেন্টসেও চাকরি নেয়৷ বছরখানেক আগে সেই চাকরি হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়ে৷”
এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ফতুল্লা থানার ওসি রিজাউল হক৷
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ ইমরান হোসেন তালহা
মন্তব্য