বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেসবুক কমেন্টের জেরে সিনিয়র কর্তৃক জুনিয়রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকপাড় সংলগ্ন এলাকায় আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.০০ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আরমান মাসুদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ এবং গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী আরমান মাসুদ বলেন, ‘আমি ফেসবুকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক সার্কাজম গ্রুপে একটি পোস্টে কমেন্ট করি। এর জেরে আমার বিভাগেরই তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমন শেখ আমাকে ফোন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লিপুস ক্যান্টিনে ডেকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কয়েকজন মিলে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক পাড়ে নিয়ে যায়। লেকপাড়ে নিয়ে আশরাফুল ইসলাম বিজয়,নোমান আহমেদ তাসনিম, শেখ নাঈম,রিজভী আহমেদ, আবির হাসান সাজিদ এবং ইমন শেখ আমাকে বাঁশ দিয়ে বেধরক মারধর করে। একপর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। এরপর তারা সবাই মিলে আমাকে লাথি ঘুষি মারে এবং এমনও হুমকি দেয় যে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানালে আমাকে মেরে ফেলবে।’
এই শিক্ষার্থী আরও জানান, বর্তমানে তাকে বিভিন্ন ফোনকলের মাধ্যমে হুমকি দেয়া হয়েছে এবং এর জেরে তিনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও নোমান আহমেদ তাসনিম এবং আশরাফুল ইসলাম বিজয় ব্যতিত কারও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার বিষয়ে তাসনিম এবং বিজয় দাবি করেন তারা মারধরের ঘটনায় সম্পৃক্ত নন।
এ বিষয়ে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান বাপন চন্দ্র কুড়ি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।’
বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর ড. রাজিউর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা মারধরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছি।’
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-জহরুল ইসলাম,
মন্তব্য