নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এখানে আসার সময় রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ বয়স্ক লোকজন দেখলাম। তারা আমার হাত ধরে টান দেয় আর বলে খেলতে হবে। ভালই লাগল দেখে৷ শেখ হাসিনাকে যারা ভালবাসে তারা খেলার জন্য প্রস্তুত আছে।
সোমবার (২৯ আগষ্ট) টাঙ্গাইলে এক জনসভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, আমি ওদেরকে বিশ্বাস করি না। আপনারা তো কার যেন ফাঁসি চান। ফাঁসি চাওয়ার দরকার কি। এলাকায় আসলে যা করার করবেন। ফাঁসি দিতে দড়ি নষ্ট হয়। ২০০১ সালের ১৬ জুন, খুব খারাপ কাজ করেছিলাম। কি অপরাধ, নারায়ণগঞ্জের মাটিতে বসে বলেছিলাম আমার দাদার বাড়িতে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পবিত্র মাটিতে গোলাম আজম ও কুকুরের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বুঝতে পারিনি তারা পেছন থেকে হামলা করবে। আরডিএক্স দিয়ে বোমা হামলা করল। আমার বিশজন মানুষ টুকরো টুকরো হয়ে গেল। সেদিন সেই অবস্থায় একটি কথাই বলেছিলাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচান। সেদিন বলেছিলাম আওয়ামী লীগের জন্য। আজ তিনি শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ না। তিনি বলেন, আমরা তখন ক্লাস সেভেনের ছাত্র। বঙ্গবন্ধু বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সাড়ে তিন বছরে স্বল্পউন্নত দেশে পরিনত করেছে। আর পনেরো বছর পেলে দেশকে জাপানের মত উন্নত দেশে রূপ দিতেন। সেখানে তাকে হত্যা করা হল। শেখ হাসিনা যখন বলেছিলেন আমাকে হত্যা করা হলেও কিছু হবে না, আমি তিন রাত ঘুমাতে পারিনি।
তিনি আরো বলেন, লজ্জা করে না আমাদের একটা লোককে সপরিবারে মেরে ফেললাম। শেখ হাসিনা বাঁচল কেন তাই তার ওপর ২১বার হামলা করা হল। শেখ হাসিনাকে আগামী দিনের বাংলাদেশের জন্য দরকার।
সামনের সময়টা খুব কঠিন সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমে আসল রোহিঙ্গা তারপর করোনা। এখন এসেছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। সারা পৃথিবীর অর্থনীতি টালমাটাল। জানি আপনাদের কষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর বাইরের কোন রাষ্ট্র নয়।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে যখন তিনি তার বাড়িতে গিয়ে দু রাকাত নফল নামাজ পড়তে চাইলেন। জিয়াউর রহমান নামাজ পড়তে দেয়নি। তারা বলে রাজপথ দখলে নিবেন। আমরা রাস্তা থেকে জন্ম নেয়া লোক। আরে খেলেন না। বলেন কবে খেলবেন। দিনের বেলা গরম বক্তব্য দেন রাতের বেলা ফোন দিয়ে বলেন খেয়াল রাখবেন। খেলা হবে অবশ্যই খেলা হবে। আমরা খেলব সমস্ত সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে। আমরা অবশ্যই খেলবো সুন্দর বাংলা গড়ার জন্য।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ ইমরান হোসেন তালহা
মন্তব্য