শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
 

“ড. মাওলা প্রিন্সের নির্দেশনায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে মঞ্চায়িত “কুহেলিকা” ও ” অগ্নিগিরি” নাট্যরূপ”।

কণ্ঠস্বর ডেস্ক, ঢাকা
প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২২

 ছবি: দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বর

(গত সোমবার ২৯ ফেব্রুয়ারি,২০২২), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সেমিনার কক্ষে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সম্মানীয় অধ্যাপক ড. হাবিব-উল- মাওলার (মাওলা প্রিন্স) নির্দেশনায় স্নাতকোত্তর (২০২০-২০২১) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কর্তৃক নজরুল সাহিত্য কোর্স (৫০৪) অবলম্বনে কথাশিল্পী কাজী নজরল ইসলামের ‘কুহেলিকা’ উপন্যাস ও ‘অগ্নিগিরি’ ছোটগল্পের নাট্যরূপ অবলম্বনে তত্ত্বীয় পাঠের সাংস্কৃতিক উপস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।

ছবি: দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বর

মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড.আহমেদুল বারী পিএইচডি। আরো উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক মো. তানজিল হোসেন, অর্থনীতি বিভাগ। গত সোমবার বেলা ২:০০ টায় উক্ত উপস্থাপন শুরু হয়। স্নাতকোত্তর (২০২০-২০২১) শিক্ষাবর্ষের প্রথম দলের সদস্যগণ কাজী নজরুল ইসলামের ‘কুহেলিকা’ উপন্যাসের নাট্যরূপ উপস্থাপন করে। উক্ত উপস্থাপনে ওঠে আসে নজরুলের রাজনৈতিক চেতনা। প্রথম দলের উপস্থাপনার পর দ্বিতীয় দলের সদস্যগণ নজরুলের ‘অগ্নিগিরি’ ছোটগল্পের নাট্যরূপের উপস্থাপন নিয়ে হাজির হয়। উক্ত উপস্থাপন শেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রথমেই বক্তব্য দেন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. তানজিল হোসেন। তিনি শিক্ষার্থীদের এমন উপস্থাপন দেখে সত্যি অভিভূত হন। তিনি বলেন,‘‘ আমি অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা করলেও সাহিত্যানুরাগী। তোমরা পেশাদারি অভিনেতা না হয়েও যে মনোমুগ্ধকর উপস্থাপন উপহার দিলে,তাতে সত্যিই আবিভূত হয়েছি। এভাবেই বাংলা বিভাগ এগিয়ে যাক। পরবর্তী বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর,অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন ,‘‘ আমি পূর্বেও নজরুল স্মৃতিকেন্দ্রে তোমাদের আরেকটি উপস্থাপন দেখেছি। তোমারা বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে যে অভিনয় করলে,তাতে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই।” তাকে এরকম অনুষ্ঠানে তাকে আবারো আমন্ত্রণ জানাতে বলে উনার বক্তব্য শেষ করেন। পরবর্তী পর্যায়ে বক্তব্য নিয়ে আসেন বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও কলা অনুষদের ডিন, অধ্যাপক আহমেদুল বারী পিএইচডি। তিনি বলেন“ আমিই সর্বপ্রথম ২০০৮ সালে শিক্ষার্থীদের তত্ত্বীয় পাঠের সাংস্কৃতিক উপস্থাপন শুরু করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য শিক্ষগণও এ পথ অবলম্বন করেছেন। এতে করে শিক্ষার্থীরা হাতেকলমে জ্ঞান আহরণ করতে সক্ষম হচ্ছে। ” এ ধারা অব্যাহত রাখায় তিনি অধ্যাপক হাবিব-উল-মাওলাকে (মাওলা প্রিন্স)কৃতজ্ঞতা জানান। উক্ত উপস্থাপনের সর্বশেষ বক্তব্য নিয়ে আসেন উপস্থাপন নির্দেশক কোর্স শিক্ষক অধ্যাপক ড. হাবিব-উল-মাওলা(মাওলা প্রিন্স)। তিনি শিক্ষার্থীদের এমন মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনে অত্যন্ত আনন্দিত হন। তিনি শিক্ষার্থীদের এ ধারা বজায় রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বলেন এবং সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে উনার বক্তব্য শেষ করেন।

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: আবু ইসহাক অনিক,

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon