ফতুল্লার বক্তাবলী আকবরনগর এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে উভয় পক্ষের ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৫-১৬ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি করেন ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহাগ চৌধুরী।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বরকে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় দ্রুত বিচার আইন ২০১৯-এর (১) ৫ ধারায় মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে আকবর নগর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুই পক্ষ আবার সংঘর্ষে জড়াতে পারে বলে আতঙ্কিত এলাকার লোকজন।
উল্লেখ্য যে, সোমবার সকাল ৯টার দিকে সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবর নগর এলাকায় বক্তাবলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছামেদ আলী বাহিনীর সাথেব বক্তাবলী ইউনিয়নের পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
তবে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ছামেদ আলী ও শওকত আলীকে আসামি করা হয়নি।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার সকাল ৯টার দিকে পূর্বশত্রুতা ও প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোপালনগর ও আকবর নগর গ্রামের দুটি পক্ষ মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। এতে নেতৃত্ব দেন চর বক্তাবলীর জাকির হোসেন ও আকবর নগর গ্রামের ওসমান গণি। তাদের নেতৃত্বে উত্তেজিত ৫০-৬০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় তারা একে অন্যের ওপর বল্লম, টেঁটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং একাধিক বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করেন। পটকা ফুটিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে দুজন এসআইসহ ছয় জন আহত হয়েছে।
এই বিষয় দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বর
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি কথা বলে
বক্তাবলীর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী সাথে সে জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় তার সাত সমর্থক পুলিশের ছুড়া শটগানের গুলিতে আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে জন্য পুলিশ বাধ্য হয়ে বিশ রাউন্ড গুলি ছুরতে বাধ্য হয় তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তিনি বলেন, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশের করা মামলায় তার লোকজনকেও আসামি করা হয়েছে বলে শুনেছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: মোঃ ইমরান হোসেন তালহা
মন্তব্য