শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
 

থার্ড জেন্ডার ডায়নার ক্লু লেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন, গ্রেফতার-১

কণ্ঠস্বর ডেস্ক, ঢাকা
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২২

---

যাত্রাবাড়ির গোলাপবাগে থার্ড জেন্ডার মাকসুদুর রহমান ওরফে ডায়না হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন, ১০ দিন গলিত লাশ উদ্ধার।গ্রেফতার হয়েছেন -১ জন

আজ বুধবার ৩১আগস্ট সকালে রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার ওয়ারী বিভাগ জনাব মোঃ জিয়াউল আহসান তালুকদার এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৭ তারিখ বিকাল ৫ ঘটিকার সময়ে স্থানীয় লোকজনের তথ্য অনুযায়ী জানা যায় যে, যাত্রাবাড়ী থানাধীন গোলাপবাগের একটি বাসায় ১ জন ব্যাক্তির গলিত লাশ পড়ে আছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী থানার মোবাইল টিম এবং ওয়ারী বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে সেখানে বাড়ির ভিতরে শয়ন কক্ষ থেকে গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

পরবর্তীতে পুলিশ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে, তদন্তে জানা যায়, মৃত মাকসুদুর রহমান খান ওরফে ডায়না (৪৮) একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এবং উচ্চ শিক্ষিত ছিল। তিনি তার নিজ বাসায় একাই বসবাস করতেন, সমাজের কারো সাথে খুব একটা বেশী চলাফেরা ছিল না তার, কিন্তু কিছু তরুণ বয়সী ছেলেদের যাতায়াত ছিল তার বাসায় ‌।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামি শোয়েব আক্তার ওরফে লাদেন এর সাথে ডায়নার ২ বছরের শারীরিক সম্পর্ক ছিল, সে ডায়নার বাসায় মাঝে মাঝে ফুট ফরমায়েশের কাজ করতো এবং সেই কাজের বিনিময়ে টাকা নিত।

তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের কিছু দিন আগে লাদেন বিয়ে করে, বিয়ের পর ও তাদের ২ জনের মধ্যে শারীরিক সমকামিতা ছিল। কিন্তু লাদেনের এই বিয়ে ও তার নতুন জীবন কিছুতেই ডায়না মেনে নিতে পারে নাই। তাই ডায়না চেয়েছিলেন লাদেনের সুখের জীবন ধ্বংস করতে, পরবর্তীতে ১৬ আগস্ট লাদেন কে ডায়না কল করে তার বাসায় নিয়ে শারীরিক সমকামিতায় লিপ্ত হয়, একপর্যায়ে লাদেনের গোপনাঙ্গে কামর দিয়ে ধরে রাখে ডায়না। পরে লাদেনের হাতের কাছে থাকা হাতুড়ি দিয়ে ডায়নার মাথায় কয়েকবার আঘাত করেন। এর ফলে ডায়না রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন হতে বিছানায় পড়ে যায়। এসময় লাদেন দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে বন্ধ মূল ফটক টপকে পালিয়ে যায় ‌। পরবর্তীতে তাকে শেরপুর জেলার নালিতা বাড়ির সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামি বর্তমানে জেল হাজতে আছে। গ্রেফতারকৃত আসামি ঘটনার সকল কিছু স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

রিপোর্ট - মোঃ জাহাঙ্গীর আলম পলক 

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon