স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাচ্চাসহ বের করে দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার মামলা আকারে নথিভুক্ত হয়। তবে আল আমিনকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। স্ত্রীর মামলার পরে তাকে গ্রেফতারে পুলিশ কাজ শুরু করলেও বাসা থেকে পালিয়েছেন আল আমিন।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) মামলা নথিভুক্ত হলে মিরপুর-২ নম্বর রোডে আল আমিনের বাসায় গিয়েও পুলিশ তাকে পায়নি।
আল আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহানের মামা মো. সাঈদ জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনার পর থেকেই আল আমিন পলাতক রয়েছেন। বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর আর বাসায় ফেরেননি। তাকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে পুলিশ খুঁজলেও এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল রানা জাগো নিউজকে জানান, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন, মারধর ও বাচ্চাসহ বের করে দেওয়ার অভিযোগে এজাহারভুক্ত আসামি আল আমিন হোসেন পলাতক রয়েছেন। তার বাসাতেও পাওয়া যায়নি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
অন্য মেয়ের সঙ্গে আল আমিনের সম্পর্কের বিষয়ে ইসরাত জাহান বলেন, ‘ওই মেয়ের সঙ্গে আল আমিনের বিয়ে হয়েছে কি না, তা জানি না। কাবিননামাও পাইনি। তবে ওই মেয়ের সঙ্গে আল আমিনের অনেক ছবি আছে।’
তিনি বলেন, ‘দুটো বাচ্চা নিয়ে আমি এখন কোথায় যাবো? আমার এখন একটাই চাওয়া, বাচ্চাদের নিয়ে যেন ভালোভাবে সংসার করতে পারি।’
ইসরাত জাহানের মামা মো. সাঈদ জাগো নিউজকে বলেন, গত দুই বছর ধরে ক্রিকেটার আল আমিন হোসেন আমার ভাগ্নিকে নির্যাতন করতেন। এর আগেও থানায় নির্যাতনের অভিযোগে জিডি করা হয়েছিল। গত ২৫ আগস্ট মারধর করে বাসা থেকে বাচ্চাসহ ইসরাতকে বের করে দেন। এরপর মিরপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন ইসরাত।
এর আগে বৃহস্পতিবার যৌতুকের জন্য মারধর ও বাচ্চাসহ বের করে দেওয়ার অভিযোগে ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন তার স্ত্রী। মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন।
মন্তব্য