সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
 

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের অফিস ভাঙ্গার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

কণ্ঠস্বর ডেস্ক, ঢাকা
প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

 ছবি: দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বর

নেট ব্যবসার দ্বন্দ্ব নিয়ে নিজের অফিসে ভাংচুর করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। সুষ্ঠ তদন্তের দাবী তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা।

শনিবার(০৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাইপাইলের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মলেন করে এই অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগীরা। এর আগে শুক্রবার রাতে আশুলিয়ার চিত্রশাইলে ছাত্রলীগ নেতার অফিস ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহারে সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমান ৯ টার দিকে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলকায় ছাত্রলীগ থানা সহ-সভাপতি খলিল প্রধানের অফিস ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে শনিবার রাতে ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আসামীরা হলেন, মোঃ নয়ন(২৬), রোহান(২৪), জহির(৩০), ফয়সাল(২৭), মোঃ আবু বক্কর(২৪), মোঃ জনি(২৩), মোঃ বিপ্লব(২৪), মোঃ রাজু(২৫), রাতুল ওরফে মুন্সী(২৪), নাজির উদ্দিন(৪৫), মোঃ মাসুদ(২৭), রহিম(৩৫)। এছাড়া আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তবে মামলার ১২ নং আসামী রহিম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত ১১ টা পযন্ত ব্যক্তিগত কাজে আমি এলাকা থেকে দূরে বাইপাইলে ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ শনিবার জানতে পারি আমার নামে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে আমি নাকি ৯ টায় উপস্থিত থেকে চিত্রশাইল ভাঙ্গচুর করেছি।

ইতিমধ্যে রহিম মিয়া বাইপাইলের যেখানে ছিলো সেই স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা যায়, আশুলিয়ার বাইপাইলে একটি দোকানে রাত ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত অবস্থান করছিলেন।

মামলার ১ নং আসামী নয়ন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১১ টা পযন্ত জামগড়া ছিলাম। বাড়ি এসে শুনি খলিলের অফিসে কি ঝামেলা হয়েছে। মুলত খলিল প্রভাব খাটিয়ে আমার নেট ব্যবসার জোর করে পার্টনার হয়। আমি তা মানি নাই বলে বিভিন্ন সময় নেট ব্যবসা দখলের চেষ্টা করে আসছে। এখন খলিল নিজের অফিস ভেঙ্গে আমার নামে মামলা দিছে। প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ট তদন্ত দাবী করছি।

নয়ন আরো বলেন, মামলার ১০ নং আসামী নাজির উদ্দিন ও ১২ নং আসামী রহিম ব্যতীত বাকীরা জামগড়ায় আওয়ামীলীগ নেতা সুমন ভুঁইয়ার ঘরোয়া রাজনৈতিক মিটিং এ উপস্থিত ছিলাম।

আশুলিয়া থানা আওয়ামীলীগের সদস্য সুমন ভুঁইয়া বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত আনুমান ১১ টা পর্যন্ত নয়ন, রোহান, জহির, মাসুদ, ফয়সাল সহ আরও শতাধিক কর্মী নিয়ে আমাদের ঘরোয়া আলোচনা চলছিল। আমি নিজেও সেখানে ছিলাম। তারা তো সেখানে থাকার কথাই উঠে না।

এদিকে অফিস ভাঙ্গচুরের অভিযোগ তুলে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে খলিল প্রধানসহ অন্যান্যরা। এ সময় তারা, অফিসসহ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙ্গচুরের অভিযোগ তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা খলিল বলেন, আমি নিজেও তো এলাকায় ছিলাম না। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করে যাদের নাম পেয়েছে তাদের নামই দেয়া হয়েছে। প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শকনকারী এস আই মাসুদ আল মামুন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙ্গচুরের সত্যতা পেয়েছি। মুলত বাদীরাই আসামীদের নাম উল্লেখ করেছেন।

এ বিষয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই এমদাদুল হক বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। তবে তদন্তে ঘটনার সাথে যে জড়িত নেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে না। পাশাপাশি চার্জশিট থেকে সেই ব্যক্তির নাম বাদ দেয়া হবে।

আব্দুল কাইয়ুম,সাভার(ঢাকা) 

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon