শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
 

নারীকে কু-প্রস্তাবের অভিযোগ, ওসি-এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

JK0007
প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

---
কুমিল্লায় এক নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে মেঘনা থানার ওসি ছমির উদ্দিন ও এসআই মো. মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩- এ মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। পরে আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন কর্মকর্তাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মেঘনা থানার শিকিরগাঁও এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী (২৬) জমির বিরোধ নিয়ে হওয়া মামলার খোঁজ নিতে বেশ কয়েকবার থানায় আসা যাওয়া করেন। এর সূত্র ধরে ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ তাকে প্রায়ই ফোন করতেন। এক পর্যায়ে ওসি ছমির তাকে মেঘনা রিসোর্টে সময় কাটানোর প্রস্তাব দেন। এসআই মোশাররফও প্রায়ই ফোন করে অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। তারা ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দিতেন। প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় দু’জনেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ আগস্ট ওই নারীর বোনের জামাইকে গ্রেফতার করতে যান ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ। সেদিন তিনি মামলার ওয়ারেন্ট দেখতে চাওয়ায় এসআই মোশাররফ তাকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে ওসির রুমে নেওয়া হয়। এ সময় রুমের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওসি তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং চিৎকার করলে মেরে ফেলার ও ধর্ষণের হুমকি দেন। তখন ওসিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাকে চড়, থাপ্পড় এবং লাথি মারা হয়। ওই নারী চিৎকার শুরু করলে এসআই মোশাররফ তার গলা চেপে ধরে। পরে তাকে আবারও অনৈতিক প্রস্তাব দেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে তিনি রাজি হননি বলে দাবি করেন।

ভুক্তভোগী নারী আরও অভিযোগ করেন, তার ফোন রিসেট করা হয়। যাতে পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রমাণ তাতে না থাকে। পাশাপাশি সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে কোর্টে চালান করে দেওয়া হয়। আটদিন জেলে থাকার পর তিনি জামিনে এসে মামলার প্রস্তুতি নেন এবং মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে ওসি ছমির উদ্দিন বলেন, ওই নারী ভীষণ উগ্র। আমরা আসামি গ্রেফতার করতে গেলে সে ওয়ারেন্ট চায়। ওয়ারেন্ট দেখালেও তিনি আমাদের আসামিকে আনতে দেননি। পরে তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধায় দেওয়ায় বাধ্য হয়। তার করা মামলা বানোয়াট।

এসআই মোশাররফ বলেন, আমাদের কাছে ভিডিও রেকর্ড আছে তিনি কি করেছেন। আমরা তাকে নারী কনসটেবল দিয়ে ধরিয়ে এনেছি। তাকে কোনও অনৈতিক প্রস্তাবও দেইনি। সে খুবই উগ্র। মামলায় সে বানোয়াট অভিযোগ করেছে। কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, আমি অভিযোগ শুনেছি। এখনও কোর্ট থেকে কাগজপত্র পাইনি।

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon