শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 

বছর না পেরুতেই ধসে পড়ছে ৩৫কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মইজ্জারটেক টু ব্রীজঘাট সড়ক ও সেতুর দুই পাশ।

কণ্ঠস্বর ডেস্ক, ঢাকা
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

 ছবি: দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বর

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় মইজ্জারটেক টু ব্রীজঘাট সড়কে পাকিস্তান আমলের দুটি সেতু ভেঙে পুনঃনির্মাণ করা হয়।গত বছরের জুন মাসে দুটি সেতুর নিমাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

কিন্তুু নব-নির্মিত সেতুর এক বছর না হওয়ার আগেই অল্প বৃষ্টিতে ধসে পড়ছে সেতুর দুই পাশ সহ সড়কের বিভিন্ন স্থান।এই নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার সৈন্যারটেক সেতু ও ব্রীজঘাট কাঁচা বাজার সংলগ্ন সেতুর দুই পাশের বিভিন্ন অংশ ধসে গেছে এবং মইজ্জারটেক থেকে ব্রীজঘাট পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন অংশ দেবে গেছে।অপরদিকে দেখা যায়,সেতুতে দেওয়া নিরাপত্তা রোলিং গুলোর যেন গড়-ঝালাই অবস্থা।রোলিং গুলো সেতুর সাথে সংস্থাপন করার জন্য প্রতিটি পয়েন্টে থাকার কথা চারটি করে নাট-বল্টু,কিন্তুু এখানে তাঁর ভিন্ন চিত্র কোনো স্থানে চারটি নাট-বল্টুর বদলে লাগানো হয়েছে দুটি নাট-বল্টু।আবার কোনো স্থানে চারটি নাট লাগানো হলেও বল্টু লাগানো হয়েছে দুটি।সব স্থানে যেন দুর্নীতির মহা উৎসব।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ(সওজ)সূত্রে জানা গেছে,প্রকল্পটি ৩৪ কোটি ৫৫লক্ষ টাকা বরাদ্দে মইজ্জারটেক টু ব্রীজঘাট এবং বিএফডিসি সড়ক পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়কের দুপাস প্রশস্ত করণ সহ দুটি সেতু নির্মাণ করা।যেখানে উল্লেখ করা হয় সেতু দু’টির দৈর্ঘ্য ৩২মিটার ও ৩৬মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫মিটার এবং মইজ্জারটেক থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে ১৮ থেকে ২৪ফুট এবং বাকি দু-কিলোমিটার ১২ থেকে ১৮ফুটে বর্ধিত করা হয়েছে।

সওজ আরো জানান,বিশাল এই প্রকল্পটির কাজ দেওয়া হয় তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে।সেগুলো হলো রানা বিল্ডাস প্রাইভেট লিঃ,হাসান টেকনো প্রাইভেট লিঃ এবং সালেহ আহমদ জেঃবি।অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের কাজে কিছুটা অনিয়ম হচ্ছে সেটা আগে থেকে এলাকাবাসী ইঙ্গিত দিলেও এতো বড় অনিয়ম হচ্ছে সে সম্পর্কে জানতো না কতৃপক্ষ।(সওজ)কতৃপক্ষ আরো বলেন,যদি কোনো কারণে সেতু কিংবা সড়কের কোনো অংশ ধসে যায়,এর জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলো দায়ী।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,প্রায় ৩৫কোটি টাকা প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ করা হলেও আধো ৩৫কোটি টাকার কাজ হয়েছে কিনা সন্দেহ।কারণ নতুন পাকা এই সেতু থেকে পাকিস্তান আমলের পুরাতন সেতু গুলো অনেক টেকসই ছিলো,এ কাজে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গুলো প্রচুর অনিয়ম আর দুর্নীতি করেছে।সওজ কতৃপক্ষের উচিৎ সুষ্ঠু তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া এবং ধসে পড়া স্থান গুলো পুণ সংস্করণ করা।

কর্ণফুলী প্রতিনিধি: মুহাম্মদ আয়াজ 

মন্তব্য

পঠিতসর্বশেষ

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon