শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
 

সাভারে ভূল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

কণ্ঠস্বর ডেস্ক, ঢাকা
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

ছবি: দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বরসাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় তাপস মন্ডল (১৪) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় নিহতের স্বজনদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে চাইলে ব্যর্থ হয় হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে সাভারের তালবাগ এলাকার সাভার সেন্ট্রাল হাসপাতালে গিয়ে এসব তথ্য পাওয়া যায়। এর আগে গতকাল শনিবার রাত ১০ টার দিকে ওই রোগীকে এনেস্থিসিয়া পুশ করা প্রায় দুই ঘন্টা পরে মারা যায় তাপস।

ছবি: দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বর

মৃত তাপস গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার কান্দাপারা গ্রামের শশী মন্ডলের ছেলে। সে স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো।

মৃতের স্বজনরা জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে ফুটবল খেলতে গিয়ে হাতের হাড় ভেঙ্গে যায় তাপসের। পরে তাকে নিয়ে স্থানীয় ফার্মেসী ব্যবসায়ী আবুলের কাছে গেলে তিনি সাভারের সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী সাভারের সেন্ট্রাল হাসপাতালে ৩৫ হাজার টাকা কন্ট্রাক্টে হাতের অপারেশন করার সিদ্ধান্ত হয়। পরে গতকাল রাত ১০ টার দিকে অপারেশনের জন্য এনেস্থিসিয়া পুশ করলে তাপস অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর পর মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে তাপস।

নিহতের মামা উত্তম কুমার বলেন, আমার ভাগিনার ফুটবল খেলতে হাত ভেঙ্গে গেছে। হাতের অপারেশন করতে মানুষ মারা যায় কিভাবে। কালিয়াকৈরের পার্শ্ববর্তী থানা ধামরাইয়ের আইঙ্গন বাজারের ফার্মেসী ব্যবসায়ী আবুল এই হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেয়। আমাদের সঠিক পরামর্শ দেওয়া হলে আমরা পঙ্গু হাসপাতালে নিতাম। তাহলে হয়তো আমার ভাগিনা বেঁচে থাকতো। আর ডাক্তার আসার আগেই রাত ১০টার দিকে এনেস্থিসিয়া দেওয়া হয়। পরে রাত ১২ টার দিকে অপারেশনের ডাক্তার আসলে তিনি বলেন অপারেশন করা যাবে না, সমস্যা আছে। পরে ডাক্তার চলে গেলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ বলেন আইসিইউতে নিতে হবে। পরে তাপসের অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতাল কতৃপক্ষই সাভারের সুপার ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানেই তাপস মারা যায়।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে মৃতের বাবা শশী মন্ডল বলেন, আমার ছেলে আমার কাছে যা চাইতো কষ্ট হলেও দিতাম। কোন কাজ করতে দিতাম না। বলতাম তুই শুধু লেখা পড়া কর। আমার আদরের ছেলেটাকে ওরা ইনজেকশন দিয়ে মেরে ফেললো। আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।

সাভার সেন্ট্রাল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. অহিদ বলেন, আমি হাসপাতালে ছিলাম না। এব্যাপারে কিছুই জানি না। তবে এনেস্থিসিয়া দিয়েছেন ডা. কামরুজ্জামান। তাকে সুপার ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হলো কেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।

আব্দুল কাইয়ুম, সাভার (ঢাকা) 

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon