বৃহস্পতিবার, ১ মে ২০২৫
 

গোপালগঞ্জে মধুমতি নদীতে ভাঙ্গন, বাড়িঘর ভেঙ্গে নিরাপদ স্থানে যাচ্ছেন অনেকেই

কণ্ঠস্বর ডেস্ক, ঢাকা
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২

 ছবি: দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বর

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ইছাখালী-ধোলইতলা-ডুবসি এলাকায় মধুমতি নদীতে আবারো ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্রতিবছর পানি বৃদ্ধি আর কমার সময় এসব এলাকার মানুষ নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড কার‌্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রতিনিয়তই মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে।হারাচ্ছে জমি-জমা, ঘরবাড়ি।নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী নদীর পাড় সংরক্ষনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বিগত ১৫/২০ বছর ধরে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এলাকার মানচিত্রই বদলে গেছে। প্রায় তিন শতাধিক পরিবার ইতোমধ্যে নদীর অপরপারে বসতি গড়েছেন। যা এখন নড়াইল জেলার মধ্যে পড়েছে।এরা গোপালগঞ্জের বাসিন্দা হলেও নড়াইলের মধ্যে বসবাস করায় কোন জেলারই সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেনা।তাছাড়া মধুমতি নদী একই পরিবারকে দু’ভাগ করে রেখেছে।

এ সপ্তাহেই‌ (৮সেপ্টেম্বর)ইছাখালী গ্রামের গৃহস্থ পরিবার হাবিবুর মোল্যার ৬টি, আকু মোল্যার ৩টি এবং আরিফ মোল্যার ২টি ঘর নদী গিলে খেয়েছে।নদীতে চলে গেছে অসংখ্য গাছপালা। শত শত লোকের চাষাবাদের জমি ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে। কখন কে আবার বসত-বাড়ি হারা হবেন এই শংকা তাড়িয়ে ফিরছে গ্রামবাসীদের। কেউ কেউ বাড়ি ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন আগে ভাগেই।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, প্রতি বছরই পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বর্ষার সময় কিছু জিও ব্যাগ এনে রাখেন। নদী ভাঙ্গন শুরু হলে সেগুলো ভাঙ্গন এলাকায় ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চালান। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়না।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হাবিবুর রহমান মোল্লা ওরফে কাফি মোল্লা জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার তার বসতঘরসহ ৬টি ঘর, গাছপালা সবই মধুমতি নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে।তিনি এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। এই ক্ষতি তিনি কবে এবং কিভাবে কাটিয়ে উঠবেন তা তিনি নিজেই বুঝতে পারছেন না।

এ ছাড়া ওই একই গ্রামের আরিফ মোল্লা ও আকু মোল্লার যথাক্রমে ২টি ও ৩টি করে ঘর নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। বাড়ি ঘরের সব কিছুই মধুমতি নদী গিলে খেয়েছে।

ওই এলাকায় আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সাফি মোল্লা, এনায়েত মোল্লা, গোলজার মোল্লা, একরাম মোল্লা, আহসান মোল্লাসহ আরো অনেকে। সবারই জায়গা জমি ভেঙ্গে নদীতে চলে গেছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, গোপালগঞ্জ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান জানান, মধুমতি নদীতে ওই এলাকায় প্রতিবছরই ভাঙ্গনের কবলে পড়ে।নদী ভাঙ্গন শুরু হলে তা রোধকল্পে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা তারা অব্যাহত রাখেন। এ বছরও তারা ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধে কাজ করবেন।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: রাকিব চৌধুরী,  

মন্তব্য

সর্বশেষপঠিত

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon