সাকেরুল ইসলাম জবি প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) ২য় ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন ও সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ শেষ করা সহ দশ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার(১১সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে।এতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে।
শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবি হল:
১. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ক্যাম্পাসের কাজ প্রধানমন্ত্রীর অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা।
২. প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরবর্তী নির্মাণ কাজ শেষ করা।
৩. ক্যাম্পাসের কাজে নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনেকে গ্রেফতার করতে হবে।
৪. দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও অবিলম্বে পুলিশের থানা বাস্তবায়ন।
৫. শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো আগে সম্পন্ন করতে হবে।
৬. লেক নির্মাণের টেন্ডারে যদি কোনো অনিয়ম হয়ে থাকে তার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
৭. জরিপের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ২০০ একর জমি নিশ্চিত করা।
৮. প্রকল্পে ছাত্র প্রতিনিধি যুক্ত করা বা শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকল্পের সকল তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।
৯. দ্রুত পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে।
১০. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান নতুন ক্যাম্পাস তথা ২য় ক্যাম্পাসে করার ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আন্দোলন ব্যতীত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন দাবি আদায় হয়নি, তাই আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করে নিতে হবে। আমাদের অগ্রজদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালে কেরানিগঞ্জে নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য ২০০ একর জমি বরাদ্ধ দেয়। কিন্তু এখনো ক্যাম্পাসের কাজের কোন অগ্রগতি হয়নি। অতি সম্প্রতি এই ক্যাস্পাসের উপর স্থানীয় চেয়ারম্যান ভূমিদস্যু শাহীন আহমেদের নজর পড়েছে। তাই এই ভূমিদস্যুকে প্রতিরোধ করে ক্যাম্পাসের নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিতে হবে।সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অতি দ্রুত ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শেষ করতে হবে। ক্যাম্পাসের কাজের টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগগুলো সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে।
মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে দেওয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দাবি আদায়ে ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে পুরো ঢাকা অচল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
মন্তব্য