এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে ১৭১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শুরুর ঝড় সামলে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান তোলে লঙ্কানরা। এশিয়া কাপের শিরোপা পেতে পাকিস্তানের টার্গেট ১৭১ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো হয়নি লঙ্কানদের। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারে নিজের তৃতীয় বলেই কুশল মেন্ডিসের স্টাম্প উড়িয়ে দেন পাকিস্তানের নাসিম শাহ। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার। দলীয় ২ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
কুশলের বিদায়ের পর দলকে টানছিলেন নিশাঙ্কা ও ধনঞ্জয়া। তবে এই জুটিকে বাড়তে দেননি হারিস রউফ। তার করা দ্বিতীয় বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন পাথুম নিশাঙ্কা। ১১ বলে ১ চারে ৮ রান করে যান তিনি। এক ওভার বাদেই হারিসের ১৫১ কিলোমিটার গতির ঝড়ে বোল্ড হয়ে যান গুনাথিলাকা।
সপ্তম ওভারে পার্টটাইমার স্পিনার ইফতিখার আহমেদের ঘূর্ণিতে ফেরেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। পরের ওভারে উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দেন শাদাব খানও। লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে বোল্ড করেন শাদাব।
৫৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা যখন খাদের কিনারায়, তখন রাজাপাকসে-হাসারাঙ্গার ব্যাটে পাল্টা আক্রমণ চালিয়েছে লঙ্কানরা। হারিসের বোলিংয়ে ভেঙেছে দুজনের ৫৮ রানের জুটি। ২১ বলে ৩৬ রান করে ফিরেছেন হাসারাঙ্গা। এই জুটিই দলকে গড়ে দিয়েছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের ভিত।
হাসারাঙ্গা ফিরলেও রাজাপাকসে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। দুই জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত খেলে গেছেন তিনি। রাজাপাকসের ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংসে ভর করেই ৬ উইকেটে ১৭০ রানের পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। ৬টি চার আর তিনটি ছয়ে ইনিংস সাজান তিনি। আর ১৪ বলে ১৪ রান করেন চামিকা করুনারত্নে।
পাকিস্তানের হয়ে তিনটি উইকেট নেন হারিস রউফ। আর একটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ, শাদাব খান এবং ইফতিখার আহমেদ।
মন্তব্য