প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য, জাতীয় সংসদ উপনেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনি প্রচার চালানোর সময় থেকেই তার সঙ্গে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর পরিচয় এবং তখন থেকেই তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন।
তিনি ১৯৫৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ’৬৬-এর ছয়দফা আন্দোলন এবং ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলন-সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রাখেন। তিনি ’৭০-এর নির্বাচনে সাতজন নারী গণপরিষদ সদস্যের একজন ছিলেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট ঘাতকেরা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর তিনি জেল-জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ১৯৮৬-১৯৯২ র্পযন্ত পুনরায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মলেনে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে সাজেদা চৌধুরীর ভূমকিা ছিল অপরিসীম। ’৮১ সালের ১৭ই মে দেশে ফেরার পর শেখ হাসিনা তাকে একজন অভভিাবক হিসেবে পেয়েছিলেন। সেই থেকে অসুস্থ হওয়ার র্পূব র্পযন্ত তিনি র্সাবক্ষণিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছায়াসঙ্গী হিসেবেই ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে জাতির এক অপূরনীয় ক্ষতি হলো, আমরা একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে হারালাম এবং আমি হারালাম একজন সত্যিকার অভিভাবক।
প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মন্তব্য