সরকারি জমি দখলের অভিযোগে সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইউনিয়নের বর্তমান সদস্যরা।
শনিবার(১৭ সেপ্টম্বর) দুপুরে শহরের মন্ডলপাড়াস্থ জাকির হোসেন চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সাবেক মেম্বারে বিরুদ্ধে কথা বলেন তারা। ইউনিয়নের ৯ সদস্য এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার জাকির হোসেন, ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ওসমান গণি, ৩ নং ওয়ার্ড মেম্বার সোহেল মিয়া, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার রওশন আলী, ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুর মান্নান, ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার ফিরোজ মিয়া, ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল ওহাব, ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার মোক্তার হোসেন ও ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহিন রাজু, স্থানীয় আব্দুর রহমান, সদর থানা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, বারেক মাদবরসহ এলাকাবাসী।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তারা বাড়ির দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে সড়কের জমি ছেড়ে দেয়ার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ইউয়নের কবরস্থান ও ঈদগাহ যাওয়া আসার সুবিধার্থে ২০১৩ সালে মুক্তারকান্দি হতে আলীরটেক মহিলা মাদ্রাসা এবং পর্যন্ত একটি সড়ক নির্মাণ করা হয়। পরবর্তিতে ২০২০ সালে তৎকালিন মেম্বার ইকবাল হোসেন সড়কের পাশে সাড়ে তিন ফুট জমি দখল করে তার বাড়ি নির্মাণ করেন। সম্প্রতি ওই সড়কটির আরসিসি ঢালায়ের কাজ হাতে নেয় ইউনিয়ন পরিষদ। এ সময় বর্তমান স্থানীয় মেম্বার ইকবাল হোসেনকে সড়কের জমি ছেড়ে দিতে বললে সে অসম্মতি জানান এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দেয়।
আব্দুল ওহাব বলেন, ২০১৩ সালে সকলের সম্মতিতে সড়কটি তৈরী করা হয়েছিল। ইকবাল যে জমিতে বাড়ি করেছে তখন ওই জমি ছিল তার চাচা সাত্তার হাজ্বির। এই সড়ক করার পর জাকির চেয়ারম্যান সড়কটিতে বিভিন্ন রকম গাছ রোপন করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনে মতি চেয়ারম্যান এবং ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার হন ইকবাল হোসেন। মেম্বার থাকা অবস্থায় সে তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সড়কের সাড়ে ৩ ফুট জমি দখল করে বাড়ির দেয়াল তৈরী করেন। তারপর জাকির চেয়ারম্যান ২০২১ সালে পুণরায় নির্বাচিত হওয়ার পর সড়কটির আরসিসি ঢালাইয়ের কাজ ধরেন। ২০ ফুট সড়ক এবং সড়কের দুই পাশে সাড়ে ৩ ফুট করে ৭ ফুট ফুটপাত রেখে। এ কাজের প্রথম থেকে আমরা ইকবালকে জমি ছাড়ার কথা বলি। এ জন্য তিনি আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দেয়, সড়কের কাজে বাধা দেন এবং মামলার ভয় দেখান।
ইকবাল হোসেনকে ভূমিদস্যু উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইকবাল হোসেন অসহায় আব্দুল বারেক মাদবরের মিয়ার জমি দখল করে রেখেছে। গত ৬-৭ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করেও তা উদ্ধার করা যায়নি। আপিল বিভাগে এখনো সে মামলা চলছে। আব্দুল ওহাবের সঙ্গে যুক্ত করে শাহিন রাজু বলেন, মেম্বার থাকা অবস্থায় ইকবাল বাহুবলে অনেকের জমি দখল করেছে। যার মধ্যে একজন নিজ চাচা সাত্তার হাজ্বি। দীর্ঘদিন এ জমি নিয়ে তাদের মধ্যে মামলা চলেছে। শেষে ২০২০ সালে সে এখানে বাড়ি করেন। একই ভাবে আব্দুল বারেকের জমি দখল করে বসে আছে। এ জমির জন্য সে আব্দুল বারেকের উপর হামলা, মামলা, হুমকি সবকিছু করেছে।
এলাকাবাসী জানান, ইকবাল মেম্বার গায়ের জোরে একটি কুচক্রী মহলের ছত্রছায়ায় সরকারী গাছ ও রাস্তা দখল করার হীন উদ্যোশ্য বর্তমান চেয়ারম্যান সহ সকল মেম্বারদের বিরুদ্ধে গনমাধ্যমে মিথ্যা, আজগুবি গল্প বলে বেড়াচ্ছে। চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ জাকির হোসেন সাহেব আলীরটেকে এক শতাংশ ও জমি কিনেন নাই। তার জন্য নয় এলাকাবাসীর সার্বিক উন্নয়নে তিনি রাস্তাঘাট নির্মান করছেন। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ না করলে তার বরিুদ্ধে মানহানি মামলা করা হবে বলে তারা জানান।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মোঃ ইমরান হোসেন তালহা
মন্তব্য