ঢাকা: নবম জাতীয় পে-স্কেল, বেতন বৈষম্য নিরসন, ৫০শতাংশ মহার্ঘ ভাতাসহ ৭ দফা দাবি আদায়ে কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি পালন করছেন সরকারি কর্মচারীরা।
ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি অফিসে কর্মরত কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের ঘোষিত কর্মসূচির সাথে একাত্মতা জানিয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করছেন সরকারি কর্মচারীরা।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করবে তারা। এর আগে গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ডেকে কালো ব্যাজ ধারণসহ বেশকিছু কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ।
কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে-
১৮ সেপ্টেম্বর, রোববার থেকে ২২ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ।
১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর সকল অফিসে ৭ দফা দাবি সপক্ষে জনমত তৈরি ও প্রচার প্রচারনা চালানো।
১ অক্টোবর বাংলাদেশের সকল জেলায় প্রেসক্লাবের সামনে একযোগে সকাল ১০টা থেকে ৭ দফা দাবির সপক্ষে মানববন্ধন কর্মসূচী।একই সাথে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্বারকলিপি প্রদান।
এরপরও দাবি পুরন না হলে জোটের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের উদ্যেগে আগামী ১৫ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন শেষে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা ও ৭ দফা দাবি সপক্ষে স্বারকলিপি প্রদান করবে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায়ে ঐক্য পরিষদ’-এর ৭ দফা দাবিসমূহ:
১। পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বতীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে।
২। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখাতে হবে।
৩। সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদ পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।
৪। টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহাল সহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পূনঃবহল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
৫। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
৬। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
‘বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায়ে ঐক্য পরিষদ’-এর ৭ দফা দাবিসমূহ:
১। পে-কমিশন গঠন পূর্বক ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করতে হবে। পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তর্বতীকালীন কর্মচারীদের জন্য ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করতে হবে।
২। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতন স্কেল নির্ধারণসহ পে-কমিশনে কর্মচারী প্রতিনিধি রাখাতে হবে।
৩। সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর, অধিদপ্তরের পদ পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।
৪। টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড পূণর্বহাল সহ বেতন জ্যেষ্ঠতা পূনঃবহল, বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
৫। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগ বিধি-২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
৬। আউট সোর্সিং পদ্ধতি বাতিল পূর্বক উক্ত পদ্ধতিতে নিয়োগকৃত ও উন্নয়ন খাতের কর্মচারীদের রাজস্বখাতে স্থানান্তর করতে হবে। ব্লক পোষ্টে কর্মরত কর্মচারীসহ সকল পদে কর্মরতদের পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
মন্তব্য