অভয়নগর প্রতিনিধি:
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় বিদেশ থেকে আমদানি করা ভর্তুকির ১২০ মেট্রিক টন ডিএপি (ডিই অ্যামেনিয়াম ফসফেট) সার চুরি হয়েছিল গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে। যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) সোমবার এবং মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে এরমধ্যে ৭৯ মেট্রিক টন উদ্ধার করেছে। সার চুরি অভিযোগে এ সময় পুলিশ নয় ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা পুলিশের পাঠানো এক তথ্যে জানানো হয়েছে।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, সরকারের ভর্তুকি দেওয়া ডিএপি সার আমদানির দরপত্র পায় যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটি চীন থেকে ১ হাজার ৩০০’ মেট্রিক টন ডিএপি সার আমদানি করে। বড় জাহাজে করে মংলা বন্দরে সার আনার পর ওই সার দুটি ছোট জাহাজে(লাইটার) করে যশোর নওয়াপাড়া নৌবন্দরে আনা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে বন্দরে নোঙ্গর করার আগে দুটি জায়গায় জাহাজ থেকে কর্মীদের সহায়তায় অজ্ঞাত চোরেরা ১২০ টন সার চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তার নয় ব্যক্তি হলেন- যশোরের অভয়নগর উপজেলার বাহিরঘাট গ্রামের নবাব আলী গোলদারের ছেলে হুমায়ন কবির (৩৫), একই উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩০) ও ধোপাদী গ্রামের আব্দুল রহিম মোড়লের ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫), ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার তারাবুনিয়া গ্রামের অমল শিকদারের ছেলে অনিমেষ শিকদার (৩৫), খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কলমিগুনিয়া গ্রামের সুদান্ন সরকারের ছেলে ভূপাল সরকার(২৭), পিরোজপুর সদর উপজেলার পশ্চিম শিকারপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে ফয়সাল মোরশেদ সজীব(৩০), একই উপজেলার ঝাটকাঠি গ্রামের বিমল সরকার লিখন সরকার(৩৯) ও কুমিরমারা গ্রামের মোবারক আলী শিকদারের ছেলে আক্কাছ আলী শিকদার (৪২) এবং বাগেরহাটের মংলা উপজেলার মেছেরশাহ সড়কের পারভেজ আহম্মেদ রাজু (২৭)।
জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপন কুমার সরকার জানান, মামলা দায়েরের পর সার উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করা হয়। এরপর গতকাল ও আজ যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া, বাগেরহাট, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহে অভিযান চালিয়ে নয় জনকে গ্রেপাতার করা হয়। এরপর তাঁদের স্বীকারোক্তি অনুসারে চুরি হওয়া ১২০ মেট্রিক টন সারের মধ্যে ৭৯ মেট্রিক টন(১ হাজার ৬৬৬ বস্তা) সার উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার নয় জনকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
মন্তব্য