যুগের কণ্ঠস্বর প্রতিবেদক:
ঢাকা জেলার আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর উজির হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ ০২ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১ মোঃ টুটুল ওরফে সবুজ (৩০), ২ মোছাঃ জেসমিন (২৫), তাদের বাড়ি একই জেলা কুষ্টিয়া তে বলে জানা যায়।
(২৪সেপ্টেম্বর) দুপুরে র্যাব-৪ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এবং র্যাব-৬ এর একটি যৌথ চৌকস আভিযানিক দল গত ২৩ সেপ্টেম্বর তারিখ দুপুরে ঝিনাইদাহ সদর থানাধীন আরাপপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আশুলিয়ার চাঞ্চল্যকর উজির হত্যাকাণ্ডের মূলহোতাসহ এজাহারনামীয় ০২ জন আসামিকে মামলা রুজু হওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে।
আরো জানানো হয় যে, আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর আশুলিয়া থানাধীন পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকার জনৈক আসলামের বাড়িতে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় অজ্ঞাতনামা একটি মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় থানা পুলিশ। পরবর্তীতে ভিকটিমের পরিবার লাশটি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ উজির (৫৫) এর বলে শনাক্ত করেন।
ঘটনা অনুসন্ধানে জানা যায় যে, ভিকটিম উজির (৫৫) নিজ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত মুদি ও সারের ব্যবসা করে আসছিলো। একই এলাকার আসামি মোঃ টুটুল ওরফে সবুজ পেশাগত কাজে জন্য ঢাকার আশুলিয়া থাকতো। আসামী টুটুল যখনই গ্রামের বাড়ি যেত ভিকটিম উজিরের সাথে সখ্যতা পূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতো। ঘটনাচক্রে আসামী টুটুল অপর আসামী জেসমিন এর সাথে প্রেমে জড়িয়ে পরে। ভিকটিম উজির তাদের এর সম্পর্কের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় নেতিবাচক কথা বলে এবং এবং আসামী টুটুলকে বিবাহ করতে নিরুৎসাহিত করে। তথাপিও আসামীরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং ভিকটিম উজিরের উপর বিভিন্নভাবে আক্রোশ তৈরি হয় এই দম্পতির।
আরো জানান, গত জুলাই মাসে আসামী টুটুল গ্রামের বাড়িতে গেলে ভিকটিম উজির আলীর একটি মোবাইল চালানোর কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসে। পরবর্তীতে বেশকয়েকবার ভিকটিম উজির আসামীর কাছে তার ফোনটি ফেরত চায়। এক পর্যায়ে আসামী টুটুল ভিকটিমকে মোবাইল ফেরত নেয়ার জন্য আশুলিয়ায় তার বাসায় বেড়াতে আসতে বলে। ভিকটিম সরল মনে গত ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার আশুলিয়ায় টুটুল-জেসমিন দম্পতির বাসায় আসে। ভিকটিম আসামীদের বাসায় আসলে পূর্ব থেকে মনোমালিন্য এবং মোবাইল ফেরত চাওয়ার জেরে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে টুটুল ও জেসমিন দম্পতি ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং রাতের আধারে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পরপরই আসামীরা আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত ঘটনায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস্ মিডিয়াসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে র্যাব-৪ আসামীদের গ্রেফতারে ছায়াতদন্ত শুরু করে। গত ২২ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় আসামীরা ছদ্মবেশে ঝিনাইদহ সদর থানাধীন আরাপপুর এলাকায় অবস্থান করছে যার প্রেক্ষিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল র্যাব-৬ এর সহযোগীতায় আসামীদের গ্রেফতার করে।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় ভিকটিম উজির’কে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য