শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
 

প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়ে এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস ব্যাবহারকারীদের মানববন্ধন

কণ্ঠস্বর ডেস্ক, ঢাকা
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

ছবি: দৈনিক যুগের কণ্ঠস্বর
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় এসপিসি ওয়ার্ল্ড ফোরাম এর মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।উক্ত মানববন্ধনে দেশের ভিবিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাবহারকারীরা হাজির হয়ে তাদের দাবি তুলে ধরেন ।যানা যায় এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস থেকে প্রতারিত হয়ে তারা সর্বহারা হয়ে এখানে দাঁড়িয়েছে।

প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ডিজিটাল ঘোষণা করার পর, অনলাইন ই-কমার্স বিজনেস এর নামে কিছু প্রতিষ্ঠান নিত্য নতুন প্রতারণার ফাঁদ পেতে ছিল। সাধারণ মানুষকে মন ভোলানো কথা আর লোভনীয় অফার-এর মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হারিয়ে নেয়, ঠিক তেমনি একটি তথাকথিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড নামে পরিচিত। এই কোম্পানীর এম.ডি-এর নাম জনাব আলামিন প্রধান। এই কোম্পানী তাদের বিজনেস শুরু করে ২০২০ সালে, যাদের বিজনেস বা বিনিয়োগের সিস্টেম হচ্ছে ১,২০০/- টাকার একটি ইউজার আইডি দেয়া হয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ্যান্সভিত্তিক এ্যাড ভিজিট করে প্রতিদিন ১০/- টাকা ইনকামের প্রতারণার ফাঁদ পাতে, যা ৫০তম দিনে ৫০০/- টাকা হলে এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড কর্তৃক দেবার কথা ছিল বা কোম্পানী কর্তৃক জেলা, উপজেলা পর্যায়ে এজেন্ট-এর মাধ্যমে গ্রাহক টাকা পাবার কথা ছিল। কিন্তু আজ ১৮ মাস অতিবাহিত হবার পর কোন টাকা কোম্পানী কর্তৃক না দেওয়ায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন ব্যাবহারকারীরা। এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড-এর এমডি আলামিন প্রধান তার এই লোভনীয় অফারে আমাদের মত সাধারণ মহাকরা আকৃষ্ট হয়ে একটু আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায়, করোনাকালীন সময়ে লকডাউন অবস্থায় বেকারত্ব থেকে একটু মুক্তি পাবার জন্য এসপিসি তে ধার দেনা করে বিনিয়োক করে এসব লোকজন। কিন্তু আজ সেই বিনিয়োগ এসপিসি-এর ক্ষতিমন্ত গ্রাহকদের গলার ফাঁস হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ তারা তাদের প্রধারণা বুঝে ওঠার আগেই বিনিয়োগকৃত অর্থ এবং পণ্য কিছু না দিয়েই কৌশলে তারা তাদের ব্যবসার ধরণ পরিবর্তন করেছে এবং গ্রাহকদের ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে।

সাধারণ গ্রাহক এসপিসি ওয়ার্ল্ড এক্সপ্রেস লিমিটেড এর এম.ডি সহ ম্যানেজমেন্ট-এ যারা আছেন বার বার তাদের সাথে যোগাযোগ করেও সাধারণ মাহকদের বিনিয়োগকৃত অর্থের কোন সমাধান ও প্রতিকার পায় নি তারা। দিনের পর দিন নিথ আশ্বাস দিয়ে ১৭/১৮ মাস অতিবাহিত করেছে।তাদের মিথ্যা আশ্বাস এর পিছনে ঘুরতে ঘুরতে আমাদের মারে পাওনাদারের পাওনা টাকার পাহাড় জেগে বসেছে। পাওনাদারের চাপে বাড়ি-ঘর ছেড়ে সর্বশান্ত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে এসব বিনিয়োগ-কারীরা। পাওনাদারের মামলা হামলার ভয়ে তারা বাড়ি ছাড়া।

মন্তব্য

পঠিতসর্বশেষ

এলাকার খবর

Developed By: Dotsilicon